পোষ্যের যত্ন নিন। ছবি:সংগৃহীত।
বাড়িতে পোষ্য থাকলে দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। পোষ্যের দেখাশোনা করাও সহজ নয়। তা ছাড়া পোষ্যরা কথা বলতে পারে না। ফলে তাদের কী সমস্যা হচ্ছে, তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে তার খাওয়াদাওয়ায় বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বাড়ির পোষা কুকুকের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। কিন্তু প্রোটিন মানেই মাংস কিংবা বাজার থেকে কেনা ‘ডগফুড’ নয়। বাড়িতে তৈরি অনেক খাবারেও থাকে বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। যা পোষ্যের জন্য বেশ উপযোগী।ঘরোয়া খাবার পোষ্যের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। পোষ্য শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলে তাদের উদ্দীপনাও বেড়ে যায়। সঠিক খাবার খাওয়ালে গায়ের লোম চকচকে হয়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। তা ছাড়া পোষ্যের হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো জরুরি। ঘরোয়া কোন খাবারগুলি পোষ্যকে খাওয়াতেই পারেন?
পিনাট বাটার
পোষ্যকে নির্ভয়ে খাওয়াতে পারেন পিনাট বাটার। পিনাট বাটারে ফাইবার, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এই প্রতিটি উপাদান পোষ্যের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। এতে পোষ্য ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে। সহজেই দুর্বল হয়ে পড়বে না।
শসা
জলজাতীয় খাবার এবং ফল পোষ্যেকে বেশি করে খাওয়ান। সে ক্ষেত্রে শসা কিন্তু অন্যতম বিকল্প। শসা খেলে পোষ্যের শরীর ঠান্ডা থাকে। জল কম খেলেও সমস্যা হয় না। শরীরে জলের পরিমাণ এতে কমে যায় না। চাঙ্গা থাকে পোষ্য।
দইয়ের সঙ্গে বেরি জাতীয় ফল
দই প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সহজে কোনও রোগ যাতে পোষ্যের শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে, তার জন্য দই খাওয়াতে পারেন। তবে শুধু দই নয়। টক দইয়ের সঙ্গে বেরি মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। পোষ্যের খেতেও ভাল লাগবে। আবার সুস্থ থাকবে শরীরও। অধিকাংশ ফল এবং শাকসব্জি নিরাপদ হলেও কিছু কিছু খাবার বিপজ্জনকও হতে পারে পোষ্যের জন্য। চেরি, কিশমিশ, আঙুর, পেঁয়াজ, চকোলেট, অ্যাভোকাডোর মতো খাবার কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়ানোর আগে এক বার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।