ঝগড়া হোক স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত।
সম্পর্ক মানেই হাসি-খেলা আর প্রমোদের মেলা নয়। ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে মান-অভিমানের পালা চলতেই থাকে। মাঝেমাঝেই ঝগড়া করে গোসাঘরে খিল দেন দু’জনে। কথাবার্তাও বন্ধ থাকে। তবে কথা না বলার মেয়াদ নির্ধারিত হয় রাগের তীব্রতার উপরে। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, ঝগ়ড়া যত বেশি হবে, সম্পর্কের বনিয়াদ তত দৃঢ় হবে। ঝগড়া তো শুধু একে অপরের প্রতি বিরক্তি, রাগ, অভিমান উগরে দেওয়ার মাধ্যম নয়। ঝগ়ড়ার মাধ্যমে অনেক কিছুর নিষ্পত্তিও হয়। ঝগড়া করলে সম্পর্ক কতটা লাভবান হয়?
সঙ্গীর মন বোঝা যায়
ঝগড়ার সময় অনুভূতি, আবেগ চেপে রাখা যায় না। মনের মধ্যে কী চলছে তা বাইরে বেরিয়ে আসে। এমনি সময়ে কথা বললে হয়তো মনের আঘাত জানা যায় না। দু’জনের বাগ্যুদ্ধে তা বেরিয়ে আসে। উল্টো দিকের মানুষটি মনের মধ্যে কতটা ক্ষত লুকিয়ে রেখেছে, তা প্রকাশ্যে আসে। এর ফলে ভুল বোঝাবুঝি অনেকটাই কমে।
নিজের ভুল বোঝা যায়
কোনও বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হলে, নিজের ভুল কেউই বুঝতে পারেন না। কিন্তু ঝগড়া হলে একে-অপরের সঙ্গে কথাবার্তায় নিজের ভুলগুলি ধরা পড়ে। সুস্থ-স্বাভাবিক আলোচনায় হয়তো সেটা আড়ালেই থেকে যেত। ঝগড়া সে দিক থেকে উপকারী হতে পারে।
সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হয়
আদর্শ সম্পর্ক বলে কিছু হয় না। সুখী সম্পর্কের নির্দিষ্ট কোনও ফর্মুলাও নেই। সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করে তোলার নেই বিশেষ কোনও কৌশলও। তবে প্রেমের জোয়ারে ভেসে যেতে যেতে মাঝেমাঝে একে-অপরের প্রতি বিদ্রোহী হয়ে উঠলেও মন্দ হয় না। তাতে সঙ্গীর মনের আরও কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে।