‘রাঞ্ঝনা’ ছবির দৃশ্যে ধনুষ আর সোনম কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমে পড়া বারণ... তবে সে তো কেবল গানেই! কারও প্রেমে পড়তে আদৌ কোনও বারণ নেই। তবে সব প্রেমের শেষে তো আর কর্ণ জোহরের ছবির মতো ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হয় না। কিছু প্রেম একতরফাও হয়। প্রেমকাহিনিতে যখন একটি চরিত্রই থাকে, তখন দুঃখই বাড়ে। কাজে মন বসাতে সমস্যা হয়। ধৈর্য কমে। রাগও হয়। তেমন পরিস্থিতিতে মানসিক টানাপড়েনে বিব্রত হয়ে পড়েন অনেকে। একতরফা প্রেম ভুলবেন কী করে?
১) দূরত্বই আপনাকে তাঁর মায়া কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। যে মানুষটির প্রতি দুর্বলতা, তিনি যত চোখের সামনে থাকবেন, ততই তাঁর প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। তাই সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চাইলে পছন্দের ব্যক্তির থেকে দূরে থাকাই ভাল।
২) সময়ের উপর ছেড়ে দিন। সময় অনেক কিছুর স্বয়ংসিদ্ধ সমাধান। একতরফা প্রেম থেকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়, তাতে সব চেয়ে ভাল প্রলেপ দিতে পারে সময়। নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকুন, নিজের পছন্দের কাজগুলিতে মন দিন। নিজেকে সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। ভালবাসার সংজ্ঞা কেবল একটি প্রেমের সম্পর্কের উপরেই নির্ভর করে না। বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা নিকটজনের ভালবাসাকেও সমান কদর করুন, মূল্য দিন।
৩) এমন পরিস্থিতিতেই অনেকেই নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। ভাবতে শুরু করেন যে, একটি প্রেম পরিণতি পায়নি বলে আর কখনই বুঝি জীবনে প্রেম আসবে না। নিজের উপর বিশ্বাস বা আস্থা হারাবেন না। একটা সম্পর্ক টিকল না বলে কোনও সম্পর্কই টিকবে না, এমন একেবারেই নয়। কে বলতে পারে, আরও ভাল কিছু অপেক্ষা করছে না আপনার জীবনে?
৪) প্রেমের মানুষটির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলেও মনের কোণে টান তো থেকেই যায়। তাই অনেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরেও বন্ধুবান্ধবের মারফত তাঁর খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে কিন্তু কষ্টই বাড়ে। তাকে অন্য কারও সঙ্গে সুখী দেখলে মনে ব্যথা বাড়বে আরও, তাই এই রকম চেষ্টা না করাই ভাল। সমাজমাধ্যমের সমস্ত সাইট থেকে তাঁকে ব্লক করে দিতে পারেন। পুরনো চ্যাট বা বার্তা বার বার পড়বেন না। এতেও সমস্যা বাড়বে।