পরকীয়া মানেই সমাজের চোখরাঙানি। ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে মানেই সারা জীবন একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি। পরিস্থিতি যেমনই হোক, একে অপরের পাশে থাকার আশ্বাস। অন্যের প্রতি অতিরিক্ত না ঝোঁকার কথাও জুড়ে যায় সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে। কিন্তু সব সময়ে হাতের উপরে হাত রাখা কি সহজ কাজ? একঘেয়েমি এসেই থাকে বহু ক্ষেত্রে।বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক হয়। সে তা নিয়ে নিন্দা যতই হোক। আবার পরকীয়া নিয়ে গল্প-সিনেমা যত তৈরি হোক, সমাজের চোখরাঙানিও অঢেল। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। তবে পরকীয়ারও প্রকারভেদ আছে, সেই খবর রাখেন কি?
১) মানসিক সুখ পেতে পরকীয়া: বিবাহিত সম্পর্কে সুখী হতে না পেরে অনেকেই অন্য কোনও মানুষের উপর মানসিক ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা ভাগ করে নেন, মনখারাপ হলেই ছুটে যান সেই মানুষটির কাছে। তাঁকে আকড়ে ধরেই মানসিক শান্তি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান।
২) কেবল শারীরিক চাহিদা মেটাতে পরকীয়া: একদল মানুষ আছেন, যাঁরা কেবল যৌনসুখ পেতে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে মানসিক ভাবে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া নয়, কেবল শারীরিক সুখ মেটানোই একমাত্র লক্ষ্য হয়। এ ক্ষেত্রে এক দিনের জন্য তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মানুষ।
অনলাইনেও হয় পরকীয়া। ছবি: শাটারস্টক।
৩) অনলাইনে পরকীয়া: অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা অনলাইনে বন্ধু পাতাতে ভালবাসেন। বিয়ের পরেও অনেকে লুকিয়ে ফেসবুকের বন্ধুর সঙ্গে প্রেমালাপ করেন, অনেক সময়ে যৌনবার্তাও আদানপ্রদান করেন। এ ক্ষেত্রে সামনাসামনি নয়, পুরো বিষয়টিই হয় ডেটিং অ্যাপ, ফেসবুক কিংবা অন্য কোনও সমাজমাধ্যমের পাতায়।
৪) প্রতিশোধ নিতে পরকীয়া: সম্পর্কে থাকাকালীন স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার খবর জানতে পেরে কেউ কেউ প্রতিশোধ নিতেও পরকীয়া করে বসেন। এ ক্ষেত্রে পরকীয়ার সম্পর্কটি যে খুব গভীর হয়, তা নয়। কোথাও একটা আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকেই এমন সম্পর্কে যান কেউ কেউ।
৫) সুবিধাভোগী পরকীয়া: কারও কাছ থেকে কোনও বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্যেও অনেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। প্রেম নয়, কেবল সুবিধা আদায়ের বিষয়টিই সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়। সুবিধা আদায় করা হয়ে গেলে পরকীয়া সম্পর্কেও চিড় ধরে। এমন মানুষ এক বার নয়, বহু বার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।