বর্ষায় প্রিয় পোষ্যটিও থাকুক সংক্রমণমুক্ত। ছবি: শাটারস্টক
বর্ষার আবহাওয়ায় ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে কেবল নিজেকে বাঁচিয়ে রাখলেই চলবে না, পোষ্য কুকুরটিকেও যত্নে রাখা প্রয়োজন। এ মরসুমে ত্বকের সমস্যা হওয়া ছাড়াও ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যাতেও ভোগে পোষ্যরা। এই মরসুমে পোষ্যকে সুস্থ রাখতে বাড়তি নজর দিনে তাদের প্রতি। বর্ষায় কী ভাবে নেবেন প্রিয় পোষ্যটির যত্ন?
১) বিকেলের দিকে অনেকেই পোষ্যকে বাইরে হাঁটাতে নিয়ে যান অনেকেই। তবে এই আবহাওয়ায় ওদের বেশি বাইরে না নিয়ে যাওয়াই ভাল। সব সময়ে বৃষ্টি না পড়লেও রাস্তা-ঘাট বেশির ভাগ সময়েই ভিজে থাকে। জল-কাদার সংস্পর্শে এসে নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ছাড়াও ব্যাক্টেরিয়াজাত সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। খেয়াল রাখবেন কোনও ভাবে বৃষ্টির জল যেন পোষ্যর পেটে না চলে যায়। এর ফলে পোষ্যের পেটের গোলমালও দেখা দিতে পারে।
২) বর্ষায় পোষ্যকে পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রতি দিন স্নান করানো একদম ঠিক নয়। তবে ১৫ দিন অন্তর অ্যান্টিসেপ্টিক জাতীয় কোনও শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করিয়ে নিন। এতে পোষ্যের ত্বকের র্যাশ, চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। স্নানের পর গা ভাল করে মুছে ফেলুন। ভেজা শরীর সংক্রমণের আঁতুড়ঘর।
বর্ষায় পোষ্যর কান পরিষ্কার রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বর্ষায় পোষ্যের খাবার ও জল সুরক্ষিত রাখুন। কারণ এই দু’টি থেকেই সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বাইরে থেকে আনা কোনও জিনিসে যাতে মুখ না দেয়, সে দিকেও নজর দিন। জল খেতে দেওয়ার আগে ফুটিয়ে নিতে পারেন।
৪) বর্ষায় পোষ্যর কান পরিষ্কার রাখুন। কানের ভিতর যেন ভিজে না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখুন। কান পরিষ্কার রাখতে নিমতেলও ব্যবহার করতে পারেন।
৫) এই মরসুমে পোষ্যের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং কৃমিজনিত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বর্ষায় মনে করে নির্দিষ্ট পোষ্যকে টিকা দেওয়াতে ভুলবেন না। পোষ্যকে সুস্থ রাখতে কী কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।