ছবি: প্রতীকী
সরস্বতী পুজোয় স্লেট-চক হাতে যেই না হাতেখড়ি হল, অমনি কাঁধে বইয়ের বোঝা চেপে বসল। হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকেই অভিভাবকেরা সন্তানের জন্য ভাল স্কুল খুঁজতে শুরু করে দেন। তবে প্রথমে ‘কিন্ডারগার্টেন’ বা ‘প্লে স্কুল’ দিয়েই নিয়মিত বাড়ির বাইরে থাকার অভ্যাস করাতে হয় শিশুদের। শুরুর দিকে বেশ কিছু ক্ষণ মা-বাবাকে দেখতে না পেলে কান্নাকাটিও করে শিশুরা। তবে ধীরে ধীরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়। বাড়ির বাইরে স্কুলই তখন হয়ে ওঠে বাচ্চাদের বৃহত্তর পরিবার। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, কাছের মানুষদের ছেড়ে অন্য পরিবেশে, বৃহত্তর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শিশুরা যাতে মানিয়ে চলতে পারে, তাই স্কুলে যাওয়ার আগেই তার পাঠ দিতে হবে শিশুকে।
অন্য শিশুদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে গেলে কোন কোন জিনিস শেখাবেন শিশুকে?
১) ভাগ করে নেওয়া
চকোলেট হোক বা পড়ার বই, প্রয়োজনে পাশে থাকা বন্ধুটির সঙ্গে ভাগ করে নিতে শেখান সন্তানকে। পাশাপাশি নিজের আবেগ, অনুভূতি, চাহিদাও প্রকাশ করতে শেখান শিশুকে।
২) গায়ে হাত না তোলা
প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিসর রয়েছে। সেই পরিসরকে সম্মান করতে শেখাতে হবে। কোনও কথা সেই বন্ধুটি বলতে না চাইলে, তাকে জোর করা উচিত নয়। সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হলেও মজা করে তার গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা যায় না, এই সব বিষয়ে সন্তানকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
৩) চটপট শিখে নেওয়া
স্কুলে গিয়ে অন্য বন্ধুদের মতো চটপট করে সব বিষয় অনুধাবন করতে না পারলে অনেক সময়ে শিশুর মনে হীনম্মন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই স্কুলে যাওয়ার আগে থেকেই শুধু মুখস্থ না করে যে কোনও বিষয়কে মন দিয়ে বুঝতে বা আত্মস্থ করতে শেখান।
ছবি: প্রতীকী
৪) শ্রদ্ধা করা
মা-বাবা বা পরিবারের অন্য সকলের মতো স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শ্রদ্ধা করতে শেখান ছোট থেকেই। এমন কোনও কথা, যা সম্মানজনক নয়, সন্তানের সামনে সেগুলি ব্যবহার করা থেকে নিজেরাও বিরত থাকুন।
৫) দায়িত্ব নিতে শেখা
বাড়ি থেকেই সন্তানকে ছোট ছোট দায়িত্ব নেওয়ার পাঠ দিন। নিজে হাতে খাবার খাওয়া, নিজের জিনিস গুছিয়ে রাখা, মল-মূত্র ত্যাগ করার পর পরিষ্কার করার মতো কাজ যেন সে কারও সাহায্য ছাড়াই করতে পারে, তা বাড়ি থেকেই অভ্যাস করান।