আদৌ কি আপনি নতুন সম্পর্কে জড়ানোর জন্য মানসিক ভাবে তৈরি? ছবি: শাটারস্টক।
মনে ইচ্ছে থাকলেও সম্পর্কে জড়ানোর বিষয় নানা ভীতি থাকে অনেকের মনে। বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলেও মনের মতো সঙ্গী পাচ্ছেন না? ভাল করে ভেবে দেখুন, আপনার মধ্যেই কোনও জড়তা কাজ করছে না তো? আদৌ কি আপনি নতুন সম্পর্কে জড়ানোর জন্য মানসিক ভাবে তৈরি? কোন কোন কারণে নিজেকে আটকে রাখছেন, নিজের কাছে সেই প্রশ্ন করুন।
কেন এমনটা হচ্ছে জানেন?
আকাশাছোঁয়া প্রত্যাশা
অনেকেই মনে মনে ‘আদর্শ’ সঙ্গীর একটি ছবি তৈরি করে ফেলেন। কখনও চলচ্চিত্র বা সাহিত্য থেকে প্রেম সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করে নিই। আপনি যে গুণগুলি সঙ্গীর মধ্যে খুঁজছেন, তাঁর প্রত্যেকটি কোনও এক জন মানুষের মধ্যে পাওয়া মুশকিল। তাই সঙ্গীর কোন গুণকে প্রাধান্য দেবেন, তা আগে স্থির করে নিন। মনে রাখবেন, আপনার মধ্যেও প্রচুর খামতি রয়েছে। তাই সঙ্গী সম্পর্কে আকাশাছোঁয়া প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়।
বিশ্বাসের অভাব
অনেকে চটজলদি মানুষকে বিশ্বাস করতে করতে ভয় পান। এর প্রভাব পড়ে নতুন যে কোনও সম্পর্কেও। কোনও সম্পর্কে নিজেকে জড়ানোর আগে অনেক দ্বিধা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে সব মানুষ এক রকম হয় না। একই অভিজ্ঞতা আপনার বার বার হবে, তা ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।
অতীতের পিছু ডাক
পুরনো কোনও সম্পর্ক আচমকা ভেঙে যাওয়ার পর জীবনে নতুন কেউ এলে অজান্তেই মন বার বার অতীতের সঙ্গে তাঁর তুলনা করে। সেই থেকেই তৈরি হয় নতুন সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার প্রবণতা। অতীতকে আঁকড়ে থাকবেন না। বর্তমান জীবন উপভোগ করার চেষ্টা করুন। তা হলেই আপনি ভাল থাকবেন।
আত্মবিশ্বাসের অভাব
পুরনো কোনও সম্পর্ক আপনার ভুলে ভেঙে গিয়েছে বলে সারা ক্ষণ নিজেকে দোষারোপ করবেন না। এ ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকেই নতুন কোনও সম্পর্কে জড়াতে ভয় পান। তাই নিজেকে সময় দিন। আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে কোনও দিন কোনও সুস্থ সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।
কতৃত্ব ফলানোর প্রবণতা
অনেকেই মনে করেন, সম্পর্কে জড়ানোর প্রথম দিন থেকেই তিনি সেই সম্পর্ককে চালনা করবেন। দুই ব্যক্তির মধ্যে যদি বোঝাপড়া থাকে, তবেই সে সম্পর্ক সুখের হবে। সঙ্গীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসুন। সম্পর্কের চাবিকাঠি দু’জনের হাতে থাকলে ক্ষতি কী?