প্রত্যাশা নয়, থাকুক বিশ্বাস। ছবি- সংগৃহীত
কোনও সম্পর্কই চাওয়া-পাওয়া বিহীন হয় না। ভালবাসা বা প্রেমের সম্পর্কে দু’জনের প্রতি দু’জনের এমন চাহিদা থাকাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু চাহিদা এবং প্রত্যাশার মধ্যে যে সূক্ষ্ম ফারাক আছে, তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। সঙ্গীর প্রতি অহেতুক এই প্রত্যাশা থেকেই ভবিষ্যতে সম্পর্কের সমীকরণ কিন্তু বদলে যেতে পারে। সঙ্গীর কাছে আশা করা ভুল নয়, কিন্তু সব সময়ে আপনার সঙ্গী মনের কথা বুঝতে পারবেন, এমনটাও ঠিক নয়।
এমন কোন কোন বিষয়ে সঙ্গীর কাছে প্রত্যাশা করা ঠিক নয়?
১) সঙ্গীর মতে মত দেওয়া
আপনি কিছু বললেন আর আপনার সঙ্গী তাতে মত দিলেন না। এমন ঘটনা তো হামেশাই ঘটে। যে কোনও সম্পর্কেই মতানৈক্য স্বাভাবিক বিষয়। এমনকি, কেউ কেউ বলেন, তা নাকি স্বাস্থ্যকরও বটে। তবে সব বিষয়ে মতের অমিল হতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। কিন্তু উল্টো দিক থেকে প্রত্যাশা না রাখাই ভাল।
২) মন বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা
মুখে কিছু না বললেও সঙ্গী মনের কথা পড়ে ফেলতে পারবেন। এমনটা ধরে নেওয়া কিন্তু কাজের কথা নয়। সম্পর্কে কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা মুখে বলে দেওয়াই ভাল। সঙ্গী আপনার খারাপ লাগা বা ভাল লাগা বুঝে যাবেন, এমন প্রত্যাশা না রাখলে দু’পক্ষেরই কষ্ট কম হবে। তবে সব সম্পর্কেরই তো আলাদা আলাদা সমীকরণ থাকে। তাই অন্যান্য সম্পর্কের মাপকাঠিতে নিজেদের সম্পর্ক যাচাই করে নেওয়া ঠিক নয়।
৩) কখনও ভুল না করা
মানুষ মাত্রেই ভুল করে। ক্ষমা করতে শেখা দু’পক্ষের জন্যই ভাল। স্নান করে ভেজা তোয়ালে বিছানার উপর রেখে দেওয়াই হোক বা সঙ্গীর মন বুঝে উপহার নিয়ে যাওয়া, ভুল সব ক্ষেত্রেই হতে পারে। তাই ভুল কেন হবে এমন প্রত্যাশা রাখলে, নিজেদের মধ্যেই সমস্যা বাড়বে।
৪) সব কিছু সঠিক ভাবে করা
কেউই সব বিষয়ে একে বারে নির্ভুল হতে পারেন না। তাই নিজের কোনও আশা বা আকাঙ্ক্ষা জোর করে কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। তাই সব বিষয়ে ‘পারফেক্ট’ এমন মানুষ না খুঁজে, আপনার জন্য কে ‘পারফেক্ট’ এমন মানুষকে প্রাধান্য দেওয়াই ভাল।
৫) সব সময়ে পাশে থাকা
সব সময়ে পাশে থাকার শপথ করলেও পরিস্থিতি মানুষকে কখনও বদলে দেয়। তবে তার মানে এই নয় যে আপনার প্রতি সঙ্গী উদাসীন। প্রত্যেকের জীবনেই কিছু দায়-দায়িত্ব থাকে। সব কিছু সামলে সব সময়ে শারীরিক ভাবে সঙ্গীকে পাশে পাবেন, এমন প্রত্যাশা না করাই ভাল। তবে সব সময় না হলেও আপনার খারাপ সময়ে যদি সঙ্গী পাশে থাকে, তাই অনেক।