শাহিদ-মীরা। ছবি: সংগৃহীত
আট বছর আগে ২০১৫ সালে মীরা রাজপুতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বলি অভিনেতা শাহিদ কপূর। দিল্লিবাসী মীরা রাজপুতের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় শাহিদের। মেয়ে মিশা আর ছেলে জ়েনকে নিয়ে তাঁদের ভরা সংসার! টিনসেল টাউনে শাহিদ-মীরাকে নিয়ে চর্চাও চলে প্রচুর। সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই নজরে আসে শাহিদ-মীরার মিষ্টি সম্পর্কের ঝলক। অনেকেই প্রশ্ন করেন শাহিদ-মীরার সফল বিবাহিত জীবনের রহস্য কী?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবাহিত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন শাহিদ। শাহিদ বলেন, ‘‘বিয়ের পর মহিলারা জীবনে এসে পুরুষদের জীবন গুছিয়ে দেন। এক জন মহিলা জীবনে আসার পরেই প্রতিটি যুবক এক জন ভাল মানুষ হতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ দিন চলতে থাকে। একেই বোধ হয় জীবন বলে।’’
শাহিদের এই ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারটি ভাইরাল হওয়ার পরে অবশ্য এই নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। এক নেটিজ়েন লিখেছেন, ‘‘বিয়ে করে বৌ এনেছ, না কি এক জন আয়া?’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘শাহিদের কথা শুনে মনে হচ্ছে ও স্কুলে পড়ে! পুরুষের জীবনে মহিলাদের অস্তিত্ব কি ওইটুকুই?’’
বিবাহ জীবনের অন্যতম বড় একটি সিদ্ধান্ত। আর সিদ্ধান্তটি এমনই, যেখানে নিজের পাশাপাশি জড়িয়ে থাকে অন্য এক জন মানুষের ভবিষ্যৎও। কাজেই বিবাহের সিদ্ধান্ত যদি নিয়েই ফেলেন তা হলে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর ভালমন্দ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যিক। যদি সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়, তবে প্রাক্ আলাপচারিতার সুযোগ এমনিতেই কিছু কমই মেলে। যাঁরা সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বিবাহের দিকে এগোন তাঁদেরও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের রসায়ন কিন্তু খানিকটা হলেও বদলে যায়। কোনও মানুষের সঙ্গে রোজ কয়েক ঘণ্টার আলাপ আর এক ছাদের তলায় দিনের পর দিন একসঙ্গে কাটানোর মধ্যে অনেক ফারাক আছে! তাড়াহুড়ো করে বিয়ের সিদ্ধান্ত না নিয়ে খানিকটা সময় নিয়ে ভেবেচিন্তেই এই সিন্ধান্তটি নেওয়া উচিত। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) আপনার সঙ্গীকে কত ভাল দেখতে, তার উপর জোর না দিয়ে তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের রসায়ন আদৌ জমছে কি না, তার উপর বেশি গুরুত্ব দিন।
সম্বন্ধ করে বিয়ে করার আগে কোন ৫ কথা মাথায় রেখে চলবেন? ছবি: সংগৃহীত
২) বিয়ের আগে আলোচনা করুন সঙ্গীর অর্থনৈতিক দিক নিয়ে। এখন ছেলে-মেয়ে দু’জনেই সমান ভাবে সংসার খরচের দায়িত্বভার বহন করে। দাম্পত্যজীবনে পরস্পরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
৩) বিয়েতে দু’জন মানুষ ছাড়াও জড়িয়ে থাকে দু’টি পরিবার। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে দু’জনের কেমন রসায়ন, তা-ও আগে থেকে জেনে নেওয়া ভাল। নিজের পাশাপাশি পরিবারের কিছু চাহিদা থাকে, সেই সম্পর্কে আগে থেকেই সঙ্গীকে ধারণা দিয়ে রাখুন।
৪) সঙ্গীর উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেবেন না। আপনার ভাল লাগা, মন্দ লাগার যাবতীয় বিষয় নিয়ে আগে থেকেই সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। বিয়ে করার পর নিজের একগুচ্ছ শর্ত সঙ্গীর উপর চাপিয়ে দেওয়ার ভুল না করাই ভাল।
৫) কী ভাবে আপনি কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখবেন সে বিষয় সঙ্গীর সঙ্গে আগেভাগেই আলোচনা করে নেওয়া ভাল। অনেক সময়ে পেশার তাগিদে কর্মক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় কাটাতে হয়, পারিবারিক জীবনে খুব বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হলেও আগে থেকে তা খোলসা করে নিন। সঙ্গীর বিষয়টাও জেনে নিন।