যাঁরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তাঁদের সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন রেস। ছবি: শাটারস্টক
ক্যালিফোর্নিয়াবাসী বছর ৪৩-এর রেস ডেভিস নিজেকে এক জন পরকীয়া বিশারদ বলে পরিচয় দেন। রেসের মতে পরকীয়া আদতে ‘আসক্তি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। তার মতে, কোনও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, কোনও বেদনা ভোলার জন্য, অফিসে অতিরিক্ত কাজের চাপ কিংবা পরিবারে কোনও সমস্যা হলে দম্পতির এক জন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
যাঁরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তাঁদের সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন রেস। দাম্পত্যে কোথায় গলদ হচ্ছে তা বোঝা বেশ মুশকিল। রেসের মতে, ‘‘আমি স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে পারি। বিয়ের বাইরে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। তৈরি হয় আসক্তি! ব্যক্তির মস্তিষ্কে ডোপামাইন নামক রাসায়নিকের ক্ষরণ হয়, যা আসক্তির মূল কারণ।’’
কী ভাবে পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসবেন?
রেসের মতে, আমি দম্পতিকে সত্য কথা বলি। যিনি ধোকা দিচ্ছেন, তাঁকেও সত্যটা দেখাই এবং যাঁকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে, তাঁকেও সত্য বলি। যখন কেউ পরকীয়ায় জড়ান, তখন তাঁর মনে হয়ে আমি আমার স্ত্রী বা স্বামীকে আর ভালবাসি না! অথচ মনের কুঠুরিতে ভালবাসা কিন্তু থেকেই যায়। আমি সেই ভালবাসার কথাই ওঁদের মনে করিয়ে দিই।
পরকীয়ার ফাঁদ। ছবি: শাটারস্টক।
তা নিয়ে তাঁদের দাম্পত্যে কলহ হয়। রেসে বলেন, ‘‘তখন আমি কোনও মনোবিদের কাছে যাইনি। নিজেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছি। ভাগ্যবশত আমার বন্ধুরা আমাকে পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন। তাঁরাই আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, আমি ভুল কাজ করছি। তার পর আমি এই নিয়ে নানা পড়াশোনা করি। বুঝি, একমাত্র লোকের সঙ্গে কথা বলেই এর সমাধান সম্ভব। তাই আমি দম্পতিদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের সমস্যা শুনি, তার পর সমাধান দিই।’’