যৌন সম্পর্কের ইচ্ছার সময় নির্বাচন দিয়েও অনেক ক্ষেত্রে বোঝা যায় শরীরের অবস্থা। প্রতীকী ছবি।
সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে শারীরিক সম্পর্কের গুরুত্ব রয়েছে। ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ নামক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পর্ক ভাল রাখার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। ভালবাসার শরীরী উদ্যাপনের আসলে কোনও নির্দিষ্ট সময় হয় না। প্রিয়জনকে নিবিড় ভাবে কাছে টানার সময়টা কখনও বাঁধা-ধরা হতে পারে না। যৌনতা একটা অনুভূতি। সেই অনুভূতি জন্ম নেয় শরীরের অন্দরে, বিভিন্ন হরমোন ক্ষরণের হ্রাস-বৃদ্ধিতে। গবেষণা বলছে, কোন সময়ে যৌনতায় লিপ্ত হচ্ছেন সেটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যৌন সম্পর্কের ইচ্ছার সময় নির্বাচন দিয়েও অনেক ক্ষেত্রে বোঝা যায় শরীরের অবস্থা।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষেরা সাধারণত ঘুম ভাঙার সময়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে বেশি পছন্দ করেন। আর বেশির ভাগ মহিলা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছে বেশি থাকে। বয়সের বিচারে এই পছন্দ-অপছন্দের সময় নিয়ে ভাগাভাগি রয়েছে। দেখা গিয়েছে, তুলনায় কমবয়সিরা রাতের দিকে সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে বেশি পছন্দ করেন। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ইচ্ছা অনেকটাই হ্রাস পায়। বয়স বাড়লে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ে। ফলে রাতের চেয়ে ভোরের দিকে যৌন সম্পর্কে বেশি উৎসাহী তাঁরা।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না সুস্থ যৌনমিলনের আদর্শ সময় কোনটি। ‘মেনস হেলথ’-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্কে তৃপ্ত হতে ঘনিষ্ঠ হওয়ার উপযুক্ত সময় হল দুপুরবেলা। এর কারণ কী? আসলে সারা দিনে দুপুরের দিকে পুরুষদের ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ সবচেয়ে বেশি হয়। ফলে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও অনেক বেশি হয়। তবে এই গবেষণাটি সম্পূর্ণ ভাবেই পুরুষদের উপর করা হয়েছে। উন্নত যৌনজীবনে শরীরের বিভিন্ন হরমোন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুপুর ছাড়াও যৌনমিলনের আরও একটি ভাল সময় হল সকালবেলা। এই সময় পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা অন্য সময়ের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পুরুষদের মধ্যে আলাদা একটা উত্তেজনা তৈরি হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।