বয়সের পার্থক্য কখনও তাঁদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেনি। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স যে প্রেমের পথে বাধা হতে পারে না, এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি রয়েছে। ফের তা আরও এক বার মনে করালেন চেরি এবং ম্যাকিন। সদ্য বিয়ে করেছেন দু’জনে। চেরির ৬২-এর প্রৌঢ়া। ম্যাকি ২৫-এর দুরন্ত যুবক। কিন্তু বয়সের পার্থক্য কখনও তাঁদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেনি।
সম্প্রতি দু’জনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও, প্রেমের সম্পর্কের বয়স বছর তিনেক। একটি দু’জনেই জর্জিয়ার স্থানীয় একটি ডেয়ারিতে কাজ করতেন। চেরি সেখানে কোষাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করতেন। ম্যাকি অন্য একটি বিভাগে কাজ করতেন।
এক বার কাজে ভুল করেছিলেন ম্যাকি। চেরি সেই জন্য তাঁকে খানিক বকাঝকা করেছিলেন। সেই একে অপরের সঙ্গে প্রথম কথা। তার পর ধীরে ধীরে সখ্য গড়ে ওঠে। সেখান থেকে প্রেম। চেরি প্রথমে সম্পর্কটি নিয়ে খানিক ধন্দে ছিলেন। ৩৭ বছরের ছোট এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে শুরু করতে তাঁর একটু বাধো বাধো ঠেকছিল। তবে ম্যাকি চেরির সব দ্বিধা দূর করে দিয়েছিলেন।
ম্যাকিই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দেন চেরিকে। সে কথা শুনে প্রথমে থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন চেরি। তাঁর মনে হয়েছিল, ম্যাকি মজা করছেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু পরে যখন সত্যি বিয়েটা হল, চেরি আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন।
দু’জনের প্রেমের শুরু থেকেই চারপাশের অনেকেই এই সম্পর্কটা মেনে নেননি। ম্যাকিকে অনেকেই বলেছিলেন সরে আসতে। কিন্তু ম্যাকি শুধু নিজের মনের কথা শুনেছিলেন। বিয়ের পর নিজেদের ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন নিজেদের। মধুচন্দ্রিমাও সেরে এসেছেন। দু’জনের ছবি দেখে অনেকে ম্যাকির কাছে জানতে চেয়েছেন, বয়সের এতটা ফারাক থাকা সত্ত্বেও কেন চেরিকেই জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিলেন তিনি? ম্যাকি বলেছেন, ‘‘আমি অভিজ্ঞ কাউকে এক জনকে জীবনে চাইছিলাম। যে আমাকে সামলাতে পারবে। তা ছাড়া আমাদের যৌনজীবনও স্বাভাবিক। আমার এর আগে বেশ কিছু সম্পর্ক ছিল। কিন্তু চেরির মতো যৌনতৃপ্তি কেউ দিতে পারেনি। চেরি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বলেই সম্ভব হয়েছে এমনটা।’’