শীৎকার যদি অন্য কারও কানে পৌঁছয়, তা হলেই বিপত্তি। প্রতীকী ছবি।
হোটেলের ঘরে যৌনতায় মত্ত এক দম্পতি। আর তাঁদের শীৎকার রেকর্ড করলেন পাশের ঘরে থাকা আর এক দম্পতি। প্রিয়জনকে এত নিবিড় ভাবে স্পর্শের মুহূর্তে একটা বাড়তি উত্তেজনা ও উন্মাদনা স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করে। কিন্তু এই একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের আবেগ যদি বাইরের লোকের কানেও পৌঁছে যায়, তখনই ঘটে বিপত্তি! যৌনতা চলাকালীন শীৎকার অনেকের মনে হবে খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবেই শীৎকার যদি অন্য কারও কানে পৌঁছয়, তা হলেই বিপত্তি।
নিজেদের একান্ত সময় কাটাতে প্রাগ শহরে ঘুরতে গিয়েছিলেন সামান্থা মার্টিন এবং তাঁর স্বামী ডিউ মার্টিন। একটি হোটেল উঠেছিলেন তাঁরা। ডিউ পেশায় এক জন জিম প্রশিক্ষক। তাই রাত জেগে শরীরচর্চা করেন তিনি। এক দিন ডিউয়ের সঙ্গে সামান্থাও জেগেছিলেন অনেক ক্ষণ। হঠাৎই পাশের ঘরে আবেগ জড়ানো কণ্ঠস্বর শুনতে পান তাঁরা। প্রথম দিন বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। কিন্তু পরের দিনও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাশের ঘর থেকে ভেসে আসা শীৎকার তাঁদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মোটা দেওয়াল ভেদ করে যখন শীৎকার তাঁদের কানে আসছে, তখন দম্পতির উত্তেজনা নিয়ে হাসিঠাট্টার মাঝেই ডিউ ঠিক করেন এটি রেকর্ড করে রাখবেন।
সামান্থা ডিউকে বলেন, শুধু শুধু রেকর্ড করে রেখে দিয়ে কী হবে। তার চেয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা যেতে পারে। সামান্থার কথা মতো সেই রেকর্ড সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেই জনপ্রিয় হয়ে যান দম্পতি। মুহূর্তে কয়েক লক্ষ মানুষ অডিয়ো ক্লিপটি শুনে ফেলেন। তবে অনেকেই জানিয়েছেন, এই বিষয়টি তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত। অনুমতি ছাড়া এ ভাবে রেকর্ড করা ঠিক হয়নি।