লাল আলো জ্বেলে ঘুমোলে কী হয়? ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে গুমোতে পারেন না। ছোট বাতি জ্বেলে ঘুমোন। কিন্তু এই ধরনের বাতি জ্বেলে ঘুমোনোর অভ্যাস কি আদৌ ভাল? এতে কি শরীরের কোনও ক্ষতি হয়? কিংবা অন্য কোনও উৎপাত বাড়তে পারে কি?
চিকিৎসকরা সব সময়েই বলেন, একেবারে অন্ধকার ঘরে ঘুমোনো সবচেয়ে ভাল। সে ক্ষেত্রে চোখের সবচেয়ে বেশি আরাম হয়। কিন্তু যদি একান্তই সেটি সম্ভব না হয়? হালের গবেষণা বলছে, যদি হাল্কা আলো জ্বেলে ঘুমোতে চান, তা হলে তার রং কী হবে, সেটি মাথায় রাখতে হবে প্রথমেই। রাতে শোওয়ার ঘরে যদি নাইট ল্যাম্প জ্বালতেই হয়, তা হলে সেটি লাল রঙের হওয়াই সবচেয়ে ভাল। আর নীল রঙের বাতি সবচেয়ে খারাপ।
বিজ্ঞানীদের মত, নীল আলো ঘুমের মধ্যেও চোখের উপর চাপ ফেলে। বন্ধ থাকলেও চোখের পাতার উপর দিয়ে রেটিনায় প্রবেশ করতে পারে এই রঙের আলো। পাশাপাশি লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অন্য আলোকরশ্মিগুলির তুলনায় সবচেয়ে কম। ফলে এটি চোখের উপর সবচেয়ে কম প্রভাব ফেলে।
কিন্তু লাল আলো জ্বেলে ঘুমোনোরও সমস্যা আছে। ঘরে এই আলো জ্বাললে আপনার বিছানায় হাজির হতে পারে আরও অনেকে। একা ঘরে লাল আলো জ্বেলে ঘুমোতে গেলে, কিছু ক্ষণ বাদেই হয়তো ঘুম ভেঙে যেতে পারে বিছানায় অনাকাঙ্ক্ষিত সঙ্গীর উপস্থিতির কারণে। এটি আর কিছুই নয়, ছারপোকা।
কীটপতঙ্গবিদদের মত, লাল আলো পতঙ্গদের কম আকর্ষণ করে। মশা, মথ, প্রজাপতি বা অন্য পতঙ্গের উৎপাত কমতে পারে লাল আলোর প্রভাবে। কিন্তু ছারপোকা জাতীয় কীটের আক্রমণ এই আলোর কারণে বাড়ে। তাই যাঁরা ঘরে লাল আলো জ্বেলে ঘুমোন, তাঁরা বিছানা থেকে যত দূরে সম্ভব আলোটি লাগান। একবার পোকার উৎপাত হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত অন্ধকার ঘরেই ঘুমোনো অভ্যাস করুন।