ইলিশ-খিচুড়ি ছবি: সংগৃহীত
সকালে ঘুম ভাঙল ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে। মেঘলা আকাশটা দেখে ভাবলেন এই দিনটাতে বেশ কফির কাপ, খোলা জানলা আর অবসরের বই হলে মন্দ হত না। তার উপর ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে যদি দুপুরে পাতে পড়ত ইলিশ, তা হলে তো ব্যাপারটা জমে যেত! যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বাজার থেকে ইলিশ কিনে নিয়ে এসে ভাবলেন নতুন কী রাঁধবেন। এদিকে মনটা খিচুড়ি-খিচুড়িও করছে। কিন্তু সেই খিচুড়ি আর ইলিশমাছ ভাজা? ভাল না লাগাটাই স্বাভাবিক। তার জন্যই এখানে রইল অন্য স্বাদের খিচুড়ি আর ইলিশের যুগলবন্দি, ইলিশ-খিচুড়ি।
ইলিশ-খিচুড়ি
উপকরণ:
ইলিশ মাছ: ১ ১/২ কিলোগ্রাম
বাসমতি চাল: ৪ কাপ
মুসুর ডাল: ১ কাপ
মুগ ডাল: ১ কাপ
সাদা তেল: ১/৩ কাপ
সরষের তেল: ১/৩ কাপ
পেঁয়াজকুচি: ১ কাপ
আদাবাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুনবাটা: ১ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৪-৫টি
শাহি জিরে: ১ চা চামচ
হলুদগুঁড়ো: ১ চা চামচ
লঙ্কাগুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
দারচিনি: ২-৩টি
এলাচ: ৪-৫টি
তেজপাতা: ২টি
নুন: স্বাদমতো
বর্ষায় রেঁধে ফেলুন এই পদ।
প্রণালী:
কড়াই গরম করে শুকনো খোলায় মুগডাল ভেজে নিন। মুগডাল লালচে হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে চাল, ভাজা মুগডাল ও মুসুরডাল মিশিয়ে ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রেখে দিন।
এবার ইলিশ মাছের টুকরোগুলিতে নুন, হলুদগুঁড়ো ও লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন।
এবার হাঁড়িতে সরষের তেল ও সাদা তেল এক সঙ্গে দিন। তেল গরম হলে ইলিশমাছগুলি ভেজে আলাদা করে সরিয়ে রাখুন।
এরপর ওই তেলে দারচিনি, তেজপাতা, এলাচ ও শাহি জিরে ফোড় দিন। একটু নাড়ার পর গন্ধ বার হলে পেঁয়াজকুচি দিন।
পেঁয়াজ একটু বাদামি হয়ে এলে তাতে আদাবাটা, রসুনবাটা, লঙ্কাগুঁড়ো ও হলুদগুঁড়ো দিয়ে কষতে থাকুন। কষতে কষতে ১/৪ কাপ জল দিন।
কষা হয়ে গেলে চাল ও ডালের মিশ্রণটি দিয়ে দিন। সঙ্গে স্বাদমতো নুন ছড়িয়ে দিন।
এবার ভাল করে কষতে থাকুন। একটু ভাজা ভাজা হয়ে গেলে এবার এতে ১০ কাপ গরম জল দিন।
একটু ফুটে উঠলে আঁচ মাঝারি করে হাঁড়িতে ঢাকা দিয়ে দিন। এরপর জল খানিকটা মরে এলে হাঁড়ি থেকে খানিকটা খিচুড়ি সরিয়ে ইলিশমাছগুলো দিয়ে দিন।
এবার মিনিট দশেক দমে রাখুন। মাখোমাখো হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।