বাজার থেকে প্রতি দিনই সকালে কিনে আনছেন টাটকা সব্জি, ফল, মাছ। নিজে হাতে ধরে পরখ করে দেখে তবেই কিনছেন। কিন্তু তাতেও কি আপনি সুরক্ষিত? জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট জানাচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত সব্জি, মাছের মধ্যে রয়েছে ভয়াবহ মাত্রার লেড। প্রতি কেজিতে ৩.৭৮ থেকে ৪৩.৩৫ মিলিগ্রাম। যেখানে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড রেগুলেশন অনুযায়ী, লেডের মাত্রা প্রতি কেজিতে ২.৫ মিলিগ্রাম ছাড়িয়ে গেলেই তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। জেনে নিন কীসে কত পরিমাণ লেড রয়েছে।
খিদিরপুর বাজার থেকে সংগৃহীত চালে প্রতি কেজিতে ১৪.৩৪ মিলিগ্রাম লেড পাওয়া গিয়েছে।
টালিগঞ্জ বাজার থেকে সংগৃহীত মসুর ডালের প্রতি কেজিতে ১.৮২ থেকে ৭.৪৪ মিলিগ্রাম লেড পাওয়া গিয়েছে।
গার্ডেনরিচ বাজার থেকে সংগৃহীত শাক সব্জির প্রতি কেজিতে ৩.২৮ থেকে ১৪৫.৪৭ মিলিগ্রাম লেড পাওয়া গিয়েছে। লেডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি লাল শাকে।
গার্ডেনরিচ বাজার থেকে সংগৃহীত মুরগির মাংসের প্রতি কেজিতে লেডের পরিমাণ ৯.৫৮ মিলিগ্রাম।
গার্ডেনরিচ বাজার থেকে সংগৃহীত মাছে ভয়াবহ মাত্রায় লেড পাওয়া গিয়েছে। প্রতি কেজি মাছে লেডের পরিমাণ ১.৩৩ থেকে ১৭.৮০ মিলিগ্রাম।
কাঁচা মশলাতেও পাওয়া গিয়েছে লেড। টালিগঞ্জ বাজার থেকে সংগৃহীত প্রতি কেজি গোটা জিরের মধ্যে ৩১.২৫ মিলিগ্রাম লেড পাওয়া গিয়েছে।
গড়িয়াহাট বাজারে তৈরি স্থানীয় বিস্কুট ও স্ন্যাকসে প্রতি ১ কেজিতে লেডের পরিমাণ ৪.৮২ থেকে ১০.৭১ মিলিগ্রাম।
যে তুলসি পাতা আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেই তুলসিতেও পাওয়া গিয়েছে ভয়াবহ মাত্রার লেড। ফুড সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন অনুযায়ী, শিশুদের রক্তে প্রতি লিটারে লেডের মাত্রা .০৫ মিলিগ্রাম ও প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি লিটার রক্তে .২৫ মিলিগ্রামের বেশি হয়ে গেলেই তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।