ক্যানসার জয় করে সন্তানের জন্ম দিলেন এক তরুণী। ছবি- সংগৃহীত
বিরল ক্যানসারে বাদ গিয়েছিল দু’টি ডিম্বাশয়। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে তার বছর পাঁচেক পর এক রকম ‘অলৌকিক’ ভাবেই সন্তানের জন্ম দিলেন বছর ৩৮-এর এক তরুণী।
বছর পাঁচেক আগে স্টকপোর্টের বাসিন্দা স্টেসি ব্রডমিডোর ডিম্বাশয়ে বিরল এক প্রকার ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘সিউডোম্যাক্সোমা পেরিটোনেই’ বা ‘পিএমপি’। মা হওয়ার সাধ অপূর্ণ ছিল। চিকিৎসা শেষে যদি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে আর সন্তানধারণ করতে না পারেন, তাই অত্যন্ত জটিল ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীনই স্টেসি সিদ্ধান্ত নেন ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখার। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ‘আইভিএফ’ পদ্ধতিতে পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর সেই স্বপ্নই পূরণ হল। এক সাক্ষাৎকারে স্টেসি বলেন, “হ্যারির জন্ম আমার কাছে বিস্ময়ের। ওকে ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ। ও না থাকলে আমার বাঁচার কোনও আশাই থাকত না।”
২০১৭ সালের ঘটনা। এক দিন হঠাৎই অ্যাপেনডিক্সের কাছে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন স্টেসি। তার পরই শুরু হয় ঋতুস্রাব। তৎক্ষণাৎ তিনি ছুটে যান চিকিৎসকের কাছে। পরীক্ষানিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, তাঁর গর্ভাশয়ে কোনও ভাবে তরল কিছু জমা হয়েছে। ক্রমশ জানা যায়, স্টেসি বিরল একটি ক্যানসারে আক্রান্ত। যা কোনও দিন তাঁর মা হওয়ার স্বপ্নপূরণ হতে দেবে না।
প্রথম অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান, আরও এক বার অস্ত্রোপচার করতে হবে। কারণ, সেই ক’দিনে ক্যানসার প্লীহা, পিত্তথলি, ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং দু’টি ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে। বাঁচার আশা যখন একেবারেই ক্ষীণ, তখন ডিম্বাণু সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্তে চিকিৎসকরাও প্রমাদ গুনেছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি স্টেসি। পাঁচ বছর পর ‘আইভিএফ’ পদ্ধতিতে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়ে মা হওয়ার সাধ পূরণ হল তাঁর।