পুজোর ক’দিন রানির সাজে থাকে সাবেকিয়ানা। ছবি: সংগৃহীত।
মায়ানগরীর দুর্গাপুজোর ব্যাপারে কথা হবে, আর সেখানকার মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর উল্লেখ থাকবে না, তাই কখনও হয়? আর সেই পুজোর কথা উঠলেই রানি মুখোপাধ্যায়ের কথা ওঠা অনিবার্য। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় সাবেকি সাজে মুখোপাধ্যায় বাড়িতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। পুজোর ক’দিন রানির সাজে থাকে সাবেকিয়ানা।
এ বছরও পুজোর পাঁচ দিন রানির সাজে ছিল বেশ চমক। নজর কেড়েছে রানির দশমীর সাজও। আটপৌরে করে সোনালি অরগ্যাঞ্জা পরেছেন তিনি। শাড়িতে ছিল গোলাপি সুতোর আভা। খোলা চুল, সিঁথিতে চওড়া করে সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র, হাতে শাঁখা-পলা-বালা। মায়ের বিদায় বেলায় দুর্গাঠাকুরকে বরণ করে সিঁদুর খেলায় মেতেছিলেন অভিনেত্রী। গালে সিঁদুরের লাল আভা। কখনও ঢাকের তালে নাচে মগ্ন অভিনেত্রী, কখনও আবার কাঁসর হাতে ছন্দে মেতেছেন তিনি।
কেবল রানি নয়, মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় কাজলের রোজের সাজও ছিল নজরকাড়া। বিশেষ করে পাপারাৎজ়ির নজর কেড়েছে কাজলের নবমীর সাজ। সে দিন কাজলের পরনে ছিল তসরের শাড়ি। সঙ্গে সোনালি রঙের জমকালো ডিজ়াইনার ব্লাউজ়। মাথায় খোঁপা, তাতে ছিল ফুলের বাঁধন। লাল বড় টিপ, হাতে কাচের এক গোছা চুড়ি। বছরের এই ক’দিন কাজল কিন্তু একেবারেই থাকেন বাঙালি বধূর সাজে।
মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে এ বছর হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফও। হলুদ সিল্কের শাড়িতে নজর কেড়েছে অভিনেত্রীর সাজ। বারাবরই খুব ছিমছাম সাজগোজ পছন্দ ক্যাটরিনার। পুজোতেও একেবারেই সাজামাটা সাজেই ছিলেন তিনি। খোলা চুল, কানে স্টেটমেন্ট দুল, হাতে চওড়া বালা আর ছোট লাল টিপে নায়িকার সাজ ছিল মোহময়ী।
রানির বাড়ির পুজোতে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণীও। শাড়ি নয়, নিয়ন সবুজ রঙের সিল্কের সালোয়ার ছিল তাঁর পরনে। হাতে চুড়ি, কানে ঝুমকো, খোলা চুল আর টিপ— ছিমছাম সাজেই অপরূপা নায়িকা। খুব বেশি সাজগোজ না-পসন্দ কিয়ারার, তাই দুর্গাপুজোতেই ছিমছাম সাজেই ছিলেন কিয়ারা।
মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী সোনাম কপূরও। অভিনেত্রীর পরনে ছিল লাল আনারকলি সঙ্গে বেনারসির ওড়না। বরাবরই ভারী গয়না পরতে ভালবাসেন সোনাম। আনারকলির সঙ্গে সোনাম পরেছিলেন চওড়া কুন্দনের নেকপিস, কানে ঝুমকো। নায়িকার দুর্গাপুজোর সাজে ছিল রাজকীয় ভাব।