এ বছরের প্রধান আকর্ষণ ভাদু টুসুর উপস্থাপনা। নিজস্ব চিত্র
বাংলা বছরের প্রথম দিনটা কী ভাবে কাটান? ছুটি কাটিয়ে, জম্পেশ পেটপুজো করে, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা মেরে কিংবা বড় জোর কোন সিনেমা দেখতে হলে গিয়ে? প্রত্যেক বছরের মতো একই ভাবে না কাটিয়ে এ বার যদি খানিক অন্য ভাবে কাটাতে যায়, তা হলে মন্দ কী! একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন, শহরে এ দিন নতুন বছর উপলক্ষে নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের হয়ে থাকে। সকাল থেকে একাধিক অঞ্চলে আয়োজিত হয় নানা শোভাযাত্রাও। তেমনই এক ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র মূল আকর্ষণই বাংলার লোকসংস্কৃতি।
প্রতি বছরই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বিশিষ্ট শিল্পীদের অভিনব পরিকল্পনা ও রূপায়ণের সাক্ষী হয়ে থাকে। আয়োজকেরা জানালেন, শুধু বছরের প্রথম দিনই নয়, সারা বছরই কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের নানা অঞ্চলে লোক সংস্কৃতির প্রসার নিয়ে কাজ করেন। বছরের প্রথম দিনে চেষ্টার করেন সেই লোক সংস্কৃতিরই টুকরো টুকরো ছবি শোভাযাত্রার মাধ্যমে তুলে ধরার।
শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
অতিমারির জন্য গত বছর আগের মতো পরিসরে এই শোভাযাত্রার আয়োজন না করতে পারলেও এ বছর আয়োকরা আশাবাদী বছরের প্রথম দিনের কর্মসূচী নিয়ে। যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। এ বছর শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ ভাদু টুসুর উপস্থাপনা, গাজীর হাতের আশা দণ্ড মতো উপকরণের ব্যবহার, লোকবাদ্যের উপস্থিতি। কেমন করে গীত হয় ভাদু টাসুর গান, কেমন করে অসহায় মানুষের মনে ভরসা জোগায় গাজীর আশা দণ্ড— তাই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন আয়োজকেরা।
সকাল ৭.৩০টা থেকে শুরু হবে এই শোভাযাত্রা। যাদবপুরের সুকান্ত সেতুর মোড় থেকে চলবে যোধপুর পার্ক পর্যন্ত। ছোট-বড় নির্বিশেষে বহু মানুষ একত্রিত হয়ে উদ্যাপন করবেন বছরের প্রথম দিনটা।