লক্ষণশাস্ত্র মতে, কারও হাতের কনিষ্ঠা দেখেই তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু বলা সম্ভব। ছবি: শাটারস্টক
অনেকে বলেন, চোখ দেখেই নাকি মানুষের চরিত্র বোঝা যায়। তবে অনেক সময় চোখও মিথ্যে কথা বলতে পারে। তা হলে সহজেই কী ভাবে বুঝবেন, একজন মানুষ ভাল না খারাপ? তিনি কী চাইছেন? কেমনই বা তাঁর চরিত্র? কোনও মানুষই সব সময় নিজের সবটা খুলে দেখান না সমাজের কাছে। চোখ ছাড়াও কারও চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করে নেওয়ার আরও উপায় রয়েছে বলে দাবি করে লক্ষণশাস্ত্র।
লক্ষণশাস্ত্র মতে, কারও হাতের কনিষ্ঠা দেখেই তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু বলা সম্ভব। তবে সেটা বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।
কারও কনিষ্ঠা যদি অনামিকার প্রথম কড় বা গাঁটের নীচে অবস্থান করে, তা হলে তাঁরা নাকি বেশ আশাবাদী হন। এমন মানুষরা সহজেই নিজের শত্রুকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। পাশাপাশি, অতীতে তাঁদের সঙ্গে যদি খারাপ কিছু ঘটে থাকে, তবে সে কথা ভুলে যেতেই পছন্দ করেন তাঁরা। পুরোনো তিক্ততা মনে না রেখে নতুন করে সব কিছু শুরু করতে পছন্দ করেন এই সব মানুষ। তাঁরা নাকি সহজেই অন্যদের বিশ্বাস করে ফেলেন। তবে এমন চরিত্রের ফলে অনেক অসৎ ব্যক্তি সহজেই তাঁদের প্রতারিত করতে পারেন। এমনকি, তাঁদের ভাল স্বভাবের সুযোগও নিতে পারে কেউ।
কারও কনিষ্ঠা যদি অনামিকার প্রথম করের সমান হয়, তা হলে তাঁরা নাকি একটু গম্ভীর স্বভাবের স্বল্পভাষী মানুষ হন। এই ব্যক্তিরা অন্যের সঙ্গে বেশি কথা বলেন না এবং তাঁদের মেলামেশা করতে সময় লাগে। যদিও বাইরে থেকে তাঁরা নিজেদের স্বাধীন এবং স্থিরবুদ্ধি সম্পন্ন হিসাবেই দেখান। এমন ব্যক্তিদের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা একেবারেই না-পসন্দ। তাঁরা স্পষ্টবাদী হন। তাই অন্যায় দেখলেই স্পষ্ট ভাবে প্রতিবাদ করেন। নিজের পরিবার-প্রিয়জনের জন্য সব কিছু করতে পারেন এরা। কিন্তু স্বল্পভাষী ও গম্ভীর হওয়ার ফলে সকলে এঁদের অহঙ্কারী মনে করেন।
কারও কনিষ্ঠা যদি অনামিকার প্রথম কড় বা গাঁটের নীচে অবস্থান করে, তা হলে তাঁরা নাকি বেশ আশাবাদী হন। ছবি: সংগৃহীত।
কারও কনিষ্ঠা যদি অনামিকার প্রথম করের উপরে শেষ হয়, তা হলে নাকি সেই মানুষ খুবই সৎ এবং সংবেদনশীল হন। এঁরা নিজেদের প্রিয়জনকে বেশ প্রাধান্য দেন। তবে বাইরের দুনিয়ার কাছে ঠিক উল্টোটাই দেখান। এই মানুষরা এমনটা দেখিয়ে থাকেন, যেন তাঁরা কোনও সঙ্গী ছাড়াও খুশি থাকতে পারেন। তবে সাধারণত নাকি বাস্তবে এমনটা হয় না। এঁরা যে কোনও কাজ বিশেষ মনোযোগের সঙ্গে করেন। কোনও কাজ হাতে নিলে তাঁরা সেই কাজ শেষ করে তবেই শান্তি পান। খুঁতখুঁতে স্বভাবের হন এমন মানুষরা।
এই সব বিবরণ কিন্তু লক্ষণশাস্ত্রে উল্লিখিত। এ সবের সত্যাসত্য নিরূপণ করা যায় না। ফলে প্রেমে পড়েই যদি কেউ প্রেমিক বা প্রেমিকার আঙুল নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি শুরু করেন, তবে প্রেমাস্পদ চটে গিয়ে তাঁকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে গুডবাই করে দিতেও পারেন।