Breathing Exercises

Coronavirus: করোনার পরে ফুসফুসের জোর কমেছে? ফিজিয়োথেরাপি করে দেখুন

করোনা সারার অনেক দিন পরেও শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে? ফিজিয়োথেরাপির মাধ্যমেও সে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

Advertisement
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ১৫:১১
Share:

নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তুলছে ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা। ফাইল চিত্র

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার অনেক দিন পরেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না করোনা রোগী। দুর্বলতা কাটছে না। সামান্য কাজ করতে গেলেও হাঁপিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে মাসের পর মাস এমন চলছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ফুসফুসের জোর কমে গিয়েছে। তা বাড়াতে হবে।

Advertisement

কী ভাবে বাড়ানো সম্ভব?

এমন ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিয়োথেরাপির মাধ্যমেও নিজেকে সুস্থ করে তোলা যায়। ইদানীং বহু চিকিৎসকই ফিজিয়োথেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে যাঁদের ফুসফুসে সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে গিয়েছিল, তেমন মানুষদের।

Advertisement

কী পদ্ধতিতে ফুসফুসের জোর বাড়াচ্ছে ফিজিয়োথেরাপি? রোগীর শরীরের প্রয়োজন বুঝে শ্বাসের বিভিন্ন ব্যায়াম করানো হচ্ছে। টানা কিছু দিন সে সব ব্যায়াম করতে পারলে দেখা যাচ্ছে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কিছুটা বাড়ছে। হাঁপিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি কম তৈরি হচ্ছে। কাটছে দুর্বলতাও।

কী ধরনের ব্যায়াম করাচ্ছেন ফিজিয়োথেরাপিস্টেরা? রইল তিনটি উদাহরণ।

শ্বাস নিয়ন্ত্রণ

এই ব্যায়াম করতে হবে বসে। ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে থাকুন। কয়েক সেকেন্ড ধরে রেখে আবার মুখ দিয়ে সেই শ্বাস ছাড়ুন। ছাড়ার সময়ে ঠোঁটের অংশটি কুঁচকে নিন। যেন মোমবাতি নেভাচ্ছেন। ভিতরে জমে থাকা মানসিক চাপও যেন মুক্ত করছেন এ ভাবে। এমন ভাবনা মনে রেখে শ্বাস ছাড়বেন আস্তে আস্তে। এই ব্যায়াম করার সময়ে চোখ বন্ধ রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।

গভীর শ্বাসের ব্যায়াম

বসেই করুন এই ব্যায়াম। শরীর থাকবে টানটান। দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার মতো করে নাক দিকে আস্তে আস্তে দম নিন। আবার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার মতো করে তা ছাড়ুন। ফিজিয়োথেরাপিস্ট বলে দিতে পারবেন, আপনার শারীরিক অবস্থায় ঠিক কতক্ষণ শ্বাস ধরে রাখা জরুরি। কত বার এই ব্যায়াম করবেন, তাও নির্ভর করে আপনার ফুসফুসের বর্তমান পরিস্থিতির উপরে। ফলে এর সংখ্যাও বলে দেবেন ফিজিয়োথেরাপিস্ট।

হাফিং

এ ক্ষেত্রে শ্বাস ছা়ড়তে হয় মুখ দিয়ে। খানিকটা ধাক্কা দিয়ে বার করতে হয় শ্বাস। তাতে ফুসফুসে জমে থাকা কফ কিছুটা উপরে চলে আসে। বারবার করলে জমে থাকা কফ থেকে মুক্তিও পাওয়া সম্ভব। হাফিং করতে হয় একটু তাড়াতাড়ি। তবে ধরে ধরে। চশমা পরিষ্কার করার সময়ে যে ভাবে মুখের বাষ্প কাচের উপরে দেওয়া হয়, সে ভাবে ছাড়তে হয় বায়ু। এই ব্যায়াম করার সময়ে পেটের উপরেও চাপ পরে। ফলে কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে হাফিং করার মতো অবস্থায় আছে কি না শরীর, তা বুঝে নিতে হবে ফিজিয়োথেরাপিস্টের কাছ থেকে। ঠিক পদ্ধতিতে হাফিং করা গেলে ফুসফুসে জমে থাকা কফ যে উপরের দিকে উঠে আসছে, তাও টের পাওয়া যাবে।

ফিজিয়োথেরাপির পরিকল্পনা করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। সেরে ওঠার সময়ে কোন রোগীর কী ধরনের সাহায্য প্রয়োজন, তা বলতে পারবেন চিকিৎসকই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সেরে ওঠার পদ্ধতি এক হয় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement