প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বাচ্চার সঙ্গে কথা বলার সময় কোন কথাগুলি বলবেন আর কোনগুলি বলবেন না, সেটা ভেবে দেখা দরকার। কারণ বাচ্চাদের মনস্তত্ত্বও কিন্তু বেশ জটিল। আপনার অসতর্ক হয়ে বলা কোনও কথাও কিন্তু ওর মনের মধ্যে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি হয়তো ভাবছেন, বাচ্চার সঙ্গে ঠিক আচরণই করছেন, কিন্তু হয়তো অনবধানতাবশতই এমন কোনও প্রসঙ্গ নিয়ে ওকে বললেন, যার ফলে ওর মনে গভীর ক্ষত তৈরি হল।
কোন আচরণগুলি করবেন না?
১) বাচ্চার কোনও দিদি-ভাই-বোন কিংবা বন্ধুর সঙ্গে কখনও বাচ্চার তুলনা করবেন না। এতে বাচ্চার আত্মসম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আপনার বাচ্চা যেমন, সেই নিজস্বতাকে স্বীকৃতি দিয়েই ওকে এগিয়ে যেতে দিন।
প্রতীকী ছবি।
২) কোনও কাজ ভুল করলে সেটা বাচ্চাকে বলুন। কিন্তু বাচ্চার মধ্যে সেই ভুলের অপরাধবোধ জমতে দেবেন না। এটি বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব গড়ে তুলতে পারে।
৩) বাচ্চার ক্ষেত্রে কেবলই যন্ত্রের মতো তার স্কুলের পড়াশোনা বা খাওয়াদাওয়ার খেয়াল রাখছেন? বাচ্চার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো কিংবা তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলারও সময় নেই আপনার হাতে? কঠোর হতে গিয়ে নিজের অনুভূতিগুলি বাচ্চার থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে বাচ্চাও কিন্তু ভবিষ্যতে অনুভূতিশূন্যতার সমস্যায় ভুগবে। বাচ্চাও তার মনের কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে না দিয়ে বলতে দিন, না হলে বাচ্চার মনে প্রভাব পড়বে।