Parasitic Twin

সদ্যোজাতের মাথার মধ্যেই বেড়ে উঠছে পরজীবী যমজ ভ্রূণ, দেখে তাজ্জব চিকিৎসকরা

এই বয়সে অসুবিধাগুলো খুব স্পষ্ট না হলেও স্নায়ুর সমস্যা যে হচ্ছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ ২১:১৩
Share:

মস্তিষ্কের মধ্যে না কি পাওয়া গিয়েছে এক জোড়া ভ্রণ! ছবি- সংগৃহীত

জন্মের পর থেকেই স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিল চিনের এক সদ্যোজাত। আপাত ভাবে উপর থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না ঘটনার গুরুত্ব। শুধু বাইরে থেকে শিশুটির মাথার আকৃতি দেখলে একটু খটকা লাগত। সেখান থেকেই যে এমন বিরল এক রোগের সন্ধান পাওয়া যাবে, তা টের পাননি কেউই।

Advertisement

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই বয়সে অসুবিধাগুলো খুব স্পষ্ট না হলেও স্নায়ুর সমস্যা যে হচ্ছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন তাঁরা। সেই দেশের বহু চিকিৎসকই হাত তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ এক দল গবেষক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে উদ্ধার হল রহস্য। জানা গিয়েছে, তার মস্তিষ্কের মধ্যে নাকি রয়েছে এক জোড়া ভ্রণের অস্তিত্ব। পরীক্ষা করে তেমনটাই দেখেছেন সেই দেশের চিকিৎসকেরা।

সাংহাই প্রদেশের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন ওই ভ্রূণের মস্তিষ্কের মধ্যে কোনও ভাবে অন্য এক জোড়া ভ্রূণ বেড়ে উঠছিল। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘প্যারাসাইটিক টুইন’। এই বিষয়ে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা বিরল হলেও অস্বাভাবিক নয়। এ ক্ষেত্রে যমজ ভ্রূণটি কোনও জরায়ুর মধ্যে থাকা মূল ভ্রূণটির শরীরে যুক্ত হয়ে যায়। তবে যমজ ওই ভ্রূণটির মধ্যে প্রাণের সঞ্চার না ঘটলেও তারা আকারে কিন্তু বাড়তে থাকে। অন্য একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডিম্বাণু, শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়ে জাইগোট সৃষ্টি করার সময় আলাদা আলাদা ক্রোমোজ়োম তৈরি করতে না পারলে সাধারণত এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ফলস্বরূপ, মূল ভ্রূণের মধ্যে অন্যান্য ভ্রূণগুলি গেঁথে যায়। এমন অবস্থায় ভ্রূণে প্রাণের সঞ্চার না ঘটলেও অন্য শরীরে থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে পরজীবীর মতো আকারে বাড়তে থাকে ওই যমজ ভ্রূণ। তাই এই ধরনের ভ্রূণগুলিকে ‘পরজীবী ভ্রূণ’ও বলা হয়ে থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement