হোটেলের ঘর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। ছবি: সংগৃহীত
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তরঙ্গের মাঝে এখন করোনা সংক্রমণের হার কিছু কম। আর তাতেই খানিক বেপরোয়া হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন অনেকে। কিন্তু সেই প্রতিটি পদক্ষেপই তৃতীয় ঢেউকে আরও একটু তরাণ্বিত করছে।
এই যেমন বেড়াতে যাওয়া। মনে রাখবেন, এক জনের বেড়াতে যাওয়াও পরিস্থিতিটিকে তৃতীয় ঢেউয়ের দিকে সামান্য হলেও এগিয়ে দেয়। কিন্তু তার পরেও একটু সচেতন হয়ে জীবাণু ছড়ানোর হার কিছুটা কমানো যায়।
কী করতে হবে এর জন্য? ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে চিকিৎসকদের নানা পারমর্শ প্রকাশিত হয়েছে আনন্দবাজার অনলাইনে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি।
• ভিড় এড়িয়ে বেড়াতে যান।
• শহর বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়াতে যান।
• অন্য পর্যটকদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করবেন না।
• হোটেল বাদ দিয়ে পারলে হোমস্টে-তে থাকুন।
মোটের উপর এগুলিই মাথায় রাখতে বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হোটেল বাদ দিতে বললেই, সব সময় বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। আর এই হোটেলগুলিও হয়ে উঠতে পারে সংক্রমণ ছড়ানোর আদর্শ জায়গা।
বেড়াতে গিয়ে হোটেলে উঠতে হলে নিরাপদে থাকবেন কী ভাবে? কী ভাবেই বা তৃতীয় ঢেউকে তরাণ্বিত করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন? দেখে নেওয়া যাক।
• নিজে স্যানিটাইজ করুন: হোটেল কর্তৃপক্ষের উপর ভরসা না রেখে, হোটেলের ঘরে ঢোকার পরে নিজে ভাল করে জীবাণুমুক্ত করার কাজটি করে নিন। দরকার হলে একটু বেশি পরিমাণে স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন।
• ধাতব জিনিসগুলি নিয়ে সাবধান: বাথরুমের কল, দরজার হাতলের মতো জিনিসগুলি নিয়ে সতর্ক থাকুন। এগুলি জীবাণু ছড়াতে সিদ্ধহস্ত। তাই হোটেলের ঘরে ঢুরে প্রথমেই এই সব ধাতব জিনিস স্যানিটাইজ করে ফেলুন।
• জানলা খোলা রাখুন: ঘরের ভিতর নানা ধরনের জীবাণু জমা থাকে। ফলে ঘরে ঢুকেই জানলা খুলে দিন। হাওয়া চলাচল করলে সেই সব জীবাণু থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। ঘরের ভিতর রোদ এলে আরও ভাল হয়।
দরজার হাতল থেকে সাবধান!
• কোথায় কোথায় যাবেন না: হোটেলে উঠেছেন বলেই হোটেলের সব কিছু ব্যবহার করতে হবে, এমন নয়। প্রথমেই এড়িয়ে চলুন লিফ্ট। যদি হোটেলে সাঁতার কাটার জায়গা থাকে, সেখানেও ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আর সবচেয়ে বেশি করে এড়িয়ে যান জিম। না হলে ছুটি কাটানোর সময়ে শরীরচর্চা করতে গিয়ে সংক্রমণ নিয়ে ফিরতে পারেন।
• খাবার আনিয়ে নিন: হোটেলের খাবার ঘর এড়িয়ে চললেই ভাল। সেখানেও পাঁচ রকম জায়গা থেকে বেড়াতে আসা মানুষ ভিড় করেন। ফলে রোগ ছড়ানোর বড় আশঙ্কা থাকে। সম্ভব হলে ঘরে খাবার আনিয়ে নিন।