আবাসিকদের সব কাজের উপর নজর রাখতেন বাড়ির মালিক। ছবি: সংগৃহীত
পড়াশোনার জন্য ‘হাইভ স্টুডেট অ্যাকোমোডেশন’ নামক এক সংস্থার অন্তর্গত একটি মেসবাড়িতে ভাড়া থাকতেন অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ডের আট ছাত্র। হঠাৎ তাঁরা খেয়াল করেন, মেসের প্রায় প্রতিটি ঘরেই বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা! বাড়ির মালিকের এমন কাজে গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেই বক্তব্য পড়ুয়াদের।
এক পড়ুয়ার অভিযোগ, কিছু দিন আগে বাড়ির মালিক জানান, রান্নাঘরের বৈদ্যুতিক সামগ্রী মেরামতের জন্য ইলেক্ট্রিশিয়ান ডাকা হচ্ছে। তাঁর আশঙ্কা, সেই সুযোগেই ক্যামেরাগুলি বসিয়েছেন মালিক। ‘‘জনপ্রিয় একটি রিয়্যালিটি শোয়ে আবাসিকদের সব কাজে নজর রাখেন কর্তৃপক্ষ। বাড়ির মালিকের কাণ্ডে মনে হচ্ছে, যেন আমরা ওই ধরনের কোনও শোয়ের প্রতিযোগী,’’ বলেন এক পড়ুয়া। শৌচাগার ছাড়া প্রায় সব ঘরেই এই ধরনের ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
আবাসিক পড়ুয়ারা নেটমাধ্যমে জানিয়েছেন গোটা ঘটনাটি। পাশাপাশি, যে সংস্থার থেকে তাঁরা মেস ভাড়া করেছেন, সেই ‘হাইভ স্টুডেট অ্যাকোমোডেশন’-কেও ইমেল করে সব জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। ইমেলের জবাবে সংস্থাটির দাবি, বাড়ির মালিকের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। কোনও আবাসিক যদি বাড়ির জিনিস নষ্ট করেন, তবে সহজেই যাতে তাঁকে সনাক্ত করা যায়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। ইমেল মারফত এমনই জানিয়েছে ওই সংস্থা।