ফাইল চিত্র।
করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তা বেড়ে চলেছে। তারই মধ্যে সতর্কবার্তা শুনিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন’। যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি, কোভিড-১৯ ভাইরাস তাদের আগে কাবু করে ফেলে বলেই বক্তব্য ওই সংস্থার। এদের মৃত্যুহারও অন্যদের তুলনায় প্রায় ১০ গুন বেশি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ১৬০টি দেশের কোভিড আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে ‘ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন’ জানিয়েছে, কোভিড অতিমারিতে সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছেন ভিয়েতনামে। এই দলে আছে জাপান, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর কারণ, এ সব দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে মোটা চেহারার মানুষের সংখ্যা নগণ্য। এ সব দেশে প্রতি ১ লক্ষ কোভিড আক্রান্তের মধ্যে মারা গিয়েছেন ০.০৪ জন। অন্য দিকে, ৪০ শতাংশেরও বেশি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে আমেরিকার কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে প্রতি ১ লক্ষে মারা গিয়েছেন ১৫২.৪৯ জন। এ সব দেখেই ফেডারেশনের কর্তা জোহানা র্যালস্টন সাধারণ মানুষকে ওজন স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে জোর দিতে বলেছেন।
আর কী বলছেন এ শহরের চিকিৎসকেরা?
বাড়তি ওজন ফুসফুসের উপরে বেশি চাপ দেয়। যাঁদের ভুঁড়ি আছে, বাড়তি চাপ পড়ে তাঁদের ফুসফুস কিছুটা সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। এর ফলে শ্বাস নেওয়ার সময়ে ফুসফুস সম্পূর্ণ প্রসারিত হয় না। ফুসফুস কিছুটা কমজোরি হয়ে পড়ে। সঙ্কুচিত হয়ে যায় শ্বাসনালিও। তাই কোভিড মোটাদের ভীষণ ভাবে কাবু করে ফেলে।
তাই ওজন কমানোর ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এখনই। কোমর ও পেটের মেদ কমাতে যোগাসন ও ব্যায়াম করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন আধ ঘণ্টা করে ব্যায়াম খুব প্রয়োজনীয়।