Social Media

‘হ্যালো, আই অ্যাম অরকুট’, নতুন লুকে ফিরছে পুরনো প্রেম

২০১৪ সালে বন্ধ হওয়ার পর ফের নতুন ভাবে, নতুন নামে আসতে চলেছে অরকুট। নাম, হ্যালো। অরকুট সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা গুগল কর্মচারী অরকুট বুয়ুক্ককটেন একটি মর্মভেদী চিঠি লেখেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ১৭:৪৩
Share:

হ্যালো নামে অরকুট ফিরছে

২০১৪ সালে বন্ধ হওয়ার পর ফের নতুন ভাবে, নতুন নামে আসতে চলেছে অরকুট। নাম, হ্যালো। অরকুট সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা গুগল কর্মচারী অরকুট বুয়ুক্ককটেন একটি মর্মভেদী চিঠি লেখেন। অরকুটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ইংরেজি সহ আরও চারটি ভাষায় মেসেজ করে জানান, “হয়ত তুমি আমাকে চিনবে না কিন্তু ১২ বছর আগে আমি অরকুট নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করেছিলাম। ৩০ কোটি বন্ধু আমাদের সঙ্গে ছিল। আমাদের সবার কাছে একটা আলাদা দুনিয়া ছিল।” এ রকম অনেক আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তার চিঠিতে। তাঁর নতুন সোশ্যাল অ্যাপ হ্যালো সম্বন্ধেও নানা কথা লিখেছেন। এমন কী পরোক্ষভাবে ফেসবুকের সমালোচনা করে তিনি জানিয়েছেন, হ্যালো হল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, যেখানে ভালোবাসা দিয়ে তৈরি হয়েছে, পছন্দ দিয়ে নয়। হ্যালোতে যোগ দেওয়ার জন্য সবাইকে আবেদন করেছেন বুয়ুক্ককটেন।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু পাতানোর হাতেখড়ি অনেকেরই অরকুটের মাধ্যমে ঘটেছিল। ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল অরকুট। সে সময় লাইক, কমেন্ট, স্ক্রাপ, টেস্টিমনিয়াল, কমিউনিটি শব্দগুলো নিয়েই ক্যাফেটেরিয়ায় চলত তুমুল চর্চা। ফেসবুক তখনও সে রকম ভাবে লাইমলাইটে আসেনি। টুইটার, ইন্সটাগ্রামেরও জন্ম হয় নি। ২০০৪ থেকে ২০০৬-এর মাঝামাঝি সোশ্যাল মিডিয়ায় অরকুট ছিল এক এবং অদ্বিতীয়ম। কিন্তু ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অরকুট পায়ের নীচে মাটি হারাতে থাকে। লোগো, লুক পরিবর্তন করে একাধিকবার। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে আর পৌঁছনোর সম্ভব হয়নি অরকুটের। ২০১৪-র ৩০ সেপ্টেম্বর গুগল সরকারিভাবে বন্ধ করে দেয় এই সোশ্যাল সাইটকে।

আরও খবর- যে ছবিগুলি আর দ্বিতীয় বার তোলা যাবে না

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement