অফিসে, রাস্তাঘাটে বা মিটিংয়ে কাজের ফাঁকে টুক করে মুখে দিয়ে নিতে পারেন এটি
বদলাচ্ছে আবহাওয়া। আর এই মরসুমে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তাই সময় থাকতেই মধু, আদার রস, তুলসী পাতা খাওয়ার টোটকা দেন মা-ঠাকুমারা। কিন্তু ব্যস্ত রুটিনে নিজের জন্য এত কিছু করার সময় থাকে না। তাই ভরসা করতে পারেন ক্যান্ডিতে। হাতে সামান্য সময় বার করে বাড়িতেই নানা ধরনের অর্গ্যানিক উপকরণ দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন ক্যান্ডি। অফিসে, রাস্তাঘাটে বা মিটিংয়ে কাজের ফাঁকে টুক করে মুখে দিয়ে নিতে পারেন এটি। কষ্ট লাঘব হবে, আবার স্বাদও বজায় থাকবে ষোলো আনা।
ক্যান্ডি তৈরি করার জন্য আধ কাপ টাটকা বা শুকনো লেমনগ্রাস নিন। তাজা লেমনগ্রাস হলে সামান্য থেঁতলে নেওয়া প্রয়োজন। তার সঙ্গে লাগবে থেঁতো করা ৩/৪ কাপ আদা, এক কাপ চিনি, আধ কাপ মধু। একটি বাটিতে বেশ খানিকটা জল নিয়ে তার মধ্যে লেমনগ্রাস ও আদা দিন। বাটি ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে আঁচ থেকে সরিয়ে দশ মিনিটের জন্য রেখে দিন। পরে ছেঁকে এক কাপ লেমনগ্রাস-জিঞ্জার চা নিন। একটি বড় বাটিতে সেই চায়ের মধ্যে চিনি ও মধু দিয়ে ফুটতে দিন। মাঝারি আঁচে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। তাপমাত্রা মোটামুটি ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি এলে সিলিকন মোল্ডে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। চাইলে উপরে চিনিও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
অনেকে আবার স্বাদ অনুযায়ী বদলে ফেলেন উপকরণ। মধু, অর্গ্যানিক কোকোনাট অয়েল, দারচিনি গুঁড়ো মেশাতে পারেন। আবার মধু ও আদার সঙ্গে মেশাতে পারেন আদা এবং হলুদ। এ ছাড়া পিপারমিন্ট, ক্যামোমাইল, আদা, দারচিনি, মধু মিশিয়েও বানিয়ে ফেলতে পারেন ক্যান্ডি। তবে ক্যান্ডি তৈরি করতে গেলে থার্মোমিটার থাকলে কাজ সহজ হয়। এ ছাড়া মোল্ড না পেলে সিলিকনের ম্যাটের উপরেও চামচে করে ঢেলে ঢেলে জমাতে পারেন ক্যান্ডি।
এ বার কাশি হলে আর বাজারচলতি কাফ ড্রপস নয়, ভরসা রাখুন হাতে তৈরি ক্যান্ডিতে।