কী পরবেন, বলে দেবে পুজো কমিটি!
পুজো প্যান্ডেলে কী পরবেন তা যদি পুজো উদ্যোক্তারা ঠিক করে দেন, তা হলে কেমন হয়? ভাবছেন, কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম মানতে হবে? উৎসবের দিনে তো আপনি পছন্দমতো কেনা পোশাক পরবেন। সেখানে অন্য কেউ ঠিক করে দেবেন কেন!
এই ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। বেশ কিছু বছর ধরেই মুম্বইয়ের আন্ধেরিচা রাজা পুজো প্যান্ডেল, গণেশ ভক্তদের কাছে দর্শনের সময় সাবেকি পোশাক কিংবা অন্তত শালীন পোশাক পরার জন্য নোটিস জারি করে।
এই বিষয় আন্ধেরিচা রাজার আজাদনগর সার্বজনীন উৎসব সমিতির প্রধান উপদেষ্টা যশোধর ফাঁসে বলেন, ‘‘১২ বছর ধরে আমরা ভক্তদের হাফ প্যান্ট বা হাতাকাটা পোশাক না পরে সাবেকি বা শালীন পোশাক পরার অনুরোধ করে আসছি। গণেশ চতুর্থী একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তাই আমরা আশা করতেই পারি যে, এই সময় অন্তত ভক্তরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম শালীন পোশাক পরবে।’’
পুজো প্যান্ডেলের এক জন মুখপাত্র উদয় সালিয়ান যোগ করেছেন, ‘‘আমরা আমাদের প্যান্ডেলের কাছে কয়েক জোড়া ট্র্যাক প্যান্ট রেখেছি, যাঁরা পোশাকবিধি সম্পর্কে সচেতন নন, তাঁদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা ট্র্যাক প্যান্ট পরে প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে পারে।’’
প্রতীকী ছবি
শুধু এই একটি পুজো কমিটি নয়, মুম্বইয়ের একাধিক পুজো মণ্ডপের তরফে প্যান্ডেলে প্রবেশ করার সময় শালীন পোশাক পরার জন্য প্রচার চালাচ্ছে।
গণেশ গলির মুম্বইচা রাজার যুগ্ম সম্পাদক অদ্বৈত পেদামকর বলেন, ‘‘পুজোর সময় কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, সে সম্পর্কে আমরা সচেতনতা তৈরি করছি। কিন্তু আমরা এটি বাধ্যতামূলক করছি না। তাঁরা কী পরবেন, তা মানুষের পছন্দ। আমরা শুধু সচেতনতা তৈরি করছি।’’
মুম্বইয়ের জনপ্রিয় লালবাগ কা রাজা মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে যে, তাঁরা কোনও পোশাকবিধি মেনে চলার জন্য ভক্তদের বাধ্য করেন না। লালবাগ কা রাজা গণেশ উৎসব মণ্ডলের সভাপতি বালা কাম্বলে বলেন, ‘‘লোকে কী পরবেন, তার উপর আমাদের কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করি না। এটা সম্পূর্ণ ভক্তের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে তাঁরা কী পরতে চান।’’