স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বাম জমানাকেই দোষারোপ নির্মলের

রাজ্যে তৃণমূল সরকারের মেয়াদ সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরেনি এখনও। সে জন্য অবশ্য বাম জমানাকেই দুষলেন স্বাস্থ্য দফতরের পরিষদীয় সচিব তথা তৃণমূল ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা নির্মল মাজি। কেন তিন বছরেও মেডিক্যালে প্রত্যাশিত মানোন্নয়ন হল না?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৪
Share:

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্ঠানে নির্মল মাজির হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছে ছাত্রীরা। — নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে তৃণমূল সরকারের মেয়াদ সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরেনি এখনও। সে জন্য অবশ্য বাম জমানাকেই দুষলেন স্বাস্থ্য দফতরের পরিষদীয় সচিব তথা তৃণমূল ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা নির্মল মাজি। কেন তিন বছরেও মেডিক্যালে প্রত্যাশিত মানোন্নয়ন হল না? উত্তরে নির্মলবাবুর মন্তব্য, “৩৫ বছরের পচাগলা কর্মসংস্কৃতি। এ সব বাম-সরকার আমদানি করেছে! এই আবর্জনা সরাতে আরও সময় দিতে হবে।” সঙ্গে তিনি যোগ করছেন, “শুরুতে আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে কাজ শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যে কলকাতার হাসপাতালগুলোর মানোন্নয়ন হয়েছে। এ বার আমাদের লক্ষ্য মেদিনীপুর!”

Advertisement

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে আসেন নির্মলবাবু। এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে টিএমসিপির ইউনিট পুনর্গঠন হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নির্মলবাবুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা মহিলা তৃণমূল নেত্রী উত্তরা সিংহ, টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি প্রমুখ। আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে টিএমসিপির হয়ে কে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, জিতলে কে কোন পদ পাবেন, অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আগামী এক বছরের মধ্যে পিপিপি মডেলে রাজ্যে আরও ১০টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কাজ শুরু হবে বলেও জানান নির্মলবাবু। তাঁর কথায়, “ইতিমধ্যে ৪টি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ১০টি মেডিক্যাল কলেজ হবে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কাজ হবে।”

রোগীর পরিজনেদের একাংশের অভিযোগ, হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তাররা সময় মতো আসেন না। ফলে, চিকিত্‌সা পরিষেবা মাঝে-মধ্যে ব্যাহত হয়। রোগীর পরিবারের লোকেদের এই অভিযোগ নতুন নয়। এই নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যেও অসন্তোষ রয়েছে। কারন, সিনিয়র ডাক্তাররা না- থাকলে কাজের চাপ এসে পড়ে জুনিয়রদের উপরই। পরিকাঠামোগত বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। কেন সাড়ে তিন বছরেও প্রত্যাশিত উন্নয়ন হল না, এদিন অবশ্য তার সদুত্তর দেননি নির্মলবাবু। বরং বাম- জমানাকে দুষে তাঁর আশ্বাস, “কিছু সমস্যা রয়েছে বলে শুনেছি। পরিষেবার সমস্ত দিক দেখে উন্নতি করা হবে।” পুর নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী নির্মলবাবু বলেন, ‘‘৮৫ শতাংশ আসনে জিতে আমরাই পুরসভাগুলোয় বোর্ড গঠন করব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement