গবাদি পশুর জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যে গরুর কল্যাণের জন্য মদের বোতলপ্রতি ৫ টাকা সেস চালু করল হরিয়ানা সরকার। সম্প্রতি নতুন আবগারি নীতি চালু হয়েছে রাজ্যে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আদায় করা রাজস্ব পরিবেশ সুরক্ষা এবং গোসেবার খাতে ব্যবহার করা হবে।
চলতি সপ্তাহে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন আবগারি নীতি অনুমোদন করা হয়। স্থির হয়েছে, মদ বিক্রির উপর একটি খুচরো ‘পারমিট ফি’ আরোপ করা হবে। ৪০০ কোটি টাকা সেস সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প তৈরি হয়েছে।
হরিয়ানা গোসেবা আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান পুরাণ যাদব জানিয়েছেন, আদায়ীকৃত অর্থ গরুর আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মূলত ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে গোটা হরিয়ানা রাজ্যে ৬৫০টি এমন আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে ২৩টি রয়েছে গুরুগ্রামে। এ ছাড়াও গোটা রাজ্যে আশ্রয়হীন গরুর সংখ্যাও কম নয়। সারা বছর ধরে গরু উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। কিন্তু উদ্ধার হওয়া গরুর পর্যাপ্ত আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হয় না। এই প্রকল্প সফল হলে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। তিনি আরও জানান, শুধু আশ্রয় নয়, গবাদি পশুর জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। গো আশ্রয়কেন্দ্রগুলিকে সর্বাধুনিক সুবিধা দিয়ে সাজানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। গরুর যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হবে সেবকও।
হরিয়ানা সরকারের মতে, গো সংরক্ষণ বহুমুখী পেশার দরজা খুলে দেবে। গোবর থেকে প্রাকৃতিক রং তৈরির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করার কথা ভাবা হচ্ছে। ফরিদাবাদ এবং গুরুগ্রামে দু’টি এমন ‘পেন্ট প্ল্যান্ট’ রয়েছে। রাজ্য জুড়ে আরও গোটা দশেক এমন কেন্দ্র খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সুবিধা একটাই, গোবর থেকে রং এবং ‘ভার্মি কম্পোস্ট’ তৈরিতে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নিযুক্ত করবে এবং জেলাস্তরে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।