অপরাজেয়: ‘বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস’ উপলক্ষে পদযাত্রায় শিশুরা। সোমবার, দেশপ্রিয় পার্কে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
ডাউন সিনড্রোম রয়েছে, এমন শিশু, কিশোর ও তাদের পরিজনদের জন্য এল নতুন একটি মোবাইল অ্যাপ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও জেনেটিক্সের কিছু পড়ুয়া, কয়েক জন চিকিৎসক এবং কলকাতার ডাউন সিনড্রোম অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এটি তৈরি হয়েছে। ওই সংগঠনের দাবি, বিদেশে এই ধরনের অ্যাপ থাকলেও দেশে এই প্রথম। ডাউন সিনড্রোম রয়েছে, এমন শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে এই অ্যাপ খুবই উপযোগী হবে বলে জানানো হয়েছে নির্মাতাদের তরফে।
সোমবার ‘বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস’ উপলক্ষে দেশপ্রিয় পার্কেএকটি অনুষ্ঠানে ওই অ্যাপটির উদ্বোধন হয়। ডাউন সিনড্রোম অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতার সেক্রেটারি মঞ্জিমা মালাকার জানালেন, ডাউন সিনড্রোম রয়েছে, এমন শিশু বা কিশোর-কিশোরীদের অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ থেরাপি ও ফিজ়িয়োথেরাপি-সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তাদের নানা ধরনেরশারীরিক অসুবিধাও থাকে। এই সমস্ত চিকিৎসা বা থেরাপি কোথায় মিলবে, তা ভেবে অভিভাবকেরাখুবই আতান্তরে পড়েন। নতুন অ্যাপে এই সংক্রান্ত সব তথ্যই পাবেন তাঁরা।
এই অ্যাপে থাকছে নানা ধরনের শিক্ষামূলক বিষয়ও। কোনও বস্তুর রং বা আকার-আয়তন কী রকম হয়, তা শেখানোর পাশাপাশি কী ভাবে দাঁত মাজতে হয়, দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হয়, তা-ও ভিডিয়ো ও অ্যানিমেশনের মাধ্যমে শেখানো হয়েছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে ডাউন সিনড্রোম থাকা কেউ কেউ কবিতা পাঠ ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ডাউন সিনড্রোম নিয়েও কলেজে পড়াশোনা করে পাশ করেছেন, এমন কয়েক জন অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের জেনেটিক্সের অধ্যাপক সুজয় ঘোষ।
সুজয়বাবু বলেন, “ডাউন সিনড্রোম যাঁদের আছে, তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসা যায়। সঙ্গে জীবনচর্চারও
উন্নতি হয়। নতুন এই অ্যাপ সেই পথে দিশা দেখাবে।”