Sikandar film piracy

মুক্তির আগেই অনলাইনে ফাঁস ‘সিকন্দর’! সলমনের ছবির ব্যবসায় কি প্রভাব পড়বে?

শনিবার রাতেই ‘সিকন্দর’ ছবিটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্মাতারা পদক্ষেপ নিলেও এই ঘটনা বক্স অফিসে প্রভাব ফেলতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩৬
Share:

‘সিকন্দর’ ছবির একটি দৃশ্যে সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।

লড়াই করেও ‘পাইরেসি’ বন্ধ করা যাচ্ছে না। রবিবার ইদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে সলমন খানের নতুন ছবি ‘সিকন্দর’। কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই নেটদুনিয়ায় ছবিটি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় পদক্ষেপ করেছেন ছবির নির্মাতারা।

Advertisement

রবিবার থেকে প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাচ্ছে ‘সিকন্দর’। কিন্তু জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেই ছবির একটি সংস্করণ নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য খবর পাওয়ার পরেই পুলিশের সাহায্য নিয়ে নির্মাতারা একাধিক ওয়েবসাইট থেকে ছবিটি মুছে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। রবিবার বলিউডের সিনেমা ব্যবসা বিশেষজ্ঞ কোমল নাহটা সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘একটা ছবি মুক্তির আগেই ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে! একজন প্রযোজকের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে গতকাল রাত্রে সাজিদ নাডিয়াডওয়ালার ‘সিকন্দর’-এর সঙ্গে সেটাই হয়েছে।’’

কোমল আরও জানিয়েছেন, প্রযোজনা সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই ৬০০টি ওয়েবসাইট থেকে ছবিটিকে মুছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর কথায়, ‘‘যা ক্ষতি হওয়ার, তা হয়েই গিয়েছে।’’

Advertisement

ছবিটি কী ভাবে ইন্টারনেটে আপলোড করে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার তরফে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, বিষয়টির সমাধান করতে তাঁরা পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন।

এ রাজ্যে প্রায় দু’শোটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘সিকন্দর’। ছবিটির পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছেন শতদীপ সাহা। তিনি কী ভাবে বিষয়টিকে দেখছেন? হতাশা ভরা কণ্ঠে শতদীপ বললেন, ‘‘সকলে মিলে পাইরেসির বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। যে কোনও বড় ছবির মুক্তির আগেই দিনের পর দিন এ রকম জঘন্য ঘটনা ঘটছে। আমরা তো সরকারকে কর দিই। তাদের তরফেই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’’ এরই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, ‘‘অপরাধীদের খুঁজে গ্রেফতার করা হোক, না হলে আমরা বরং কর দেওয়া বন্ধ করে দিই!।’’

কিন্তু ‘বড়’ ছবি মানে, নির্মাতারা বাড়তি সতর্ক থাকেন। সেখানে কী ভাবে এ রকম ঘটনা ঘটে? শতদীপের অনুমান, ছবির প্রিন্ট ডেলিভারির পর এই ধরনের ঘটনা ঘটে। বেশির ভাগ সময়েই তা বিদেশ থেকে করা হয়। শতদীপের কথায়, ‘‘বিদেশে তো স্থানীয় সময় অনুসারে ৩০ মার্চ আগেই হয়ে গিয়েছে। তার ফলে ছবির পাইরেটেড কপিও তৈরি হয়ে গিয়েছে!’’

পাইরেসি সত্ত্বেও রবিবার সকাল থেকেই এ রাজ্যে ‘সিকন্দর’-এর টিকিট বিক্রির হার ইতিবাচক বলে জানা যাচ্ছে। পাইরেসি কি ছবিটির বক্স অফিসে ক্ষতি করতে পারে? শতদীপের কথায়, ‘‘যাঁরা প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখতে পছন্দ করেন, তাঁরা টিকিট কেটেই ছবি দেখবেন। কিন্তু পাইরেসির জন্য সব জায়গায় একটু হলেও প্রভাব পড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement