ছবি: সংগৃহীত।
বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর গান, ‘মঙ্গলগ্রহে মানুষ থাকে না’। তবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা বলছে, এমন একদিন আসবে, যে দিন মঙ্গলও মানুষের বাসযোগ্য হবে। আর মঙ্গলকে মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য এই পৃথিবীতেই আকর্ষণীয় জীবিকার সন্ধান দিচ্ছে নাসা। বেতন মোটা অঙ্কের। একই সঙ্গে যোগ্যতা কী লাগবে, তা-ও জানাল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহাকাশ ভ্রমণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য অনন্য সুযোগ নিয়ে এসেছে নাসা। তাতে মনোনীত লোকজন (চাকরিপ্রার্থী) মহাকাশে থাকার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এই পৃথিবীর মাটিতে থেকেই। শুধু তাই নয়, আকর্ষণীয় পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে তাঁদের। কিন্তু কাজটা কী?
নাসা মনে করছে, মঙ্গলেও হতে পারে মানুষের বাস। বস্তুত, মঙ্গলে মানুষের থাকার জন্য পৃথিবীতেই তারা একটি ‘ট্রায়াল রান’ শুরু করেছে। সেখানে মঙ্গলের মতো পরিবেশ তৈরি করা হবে। ভিন্গ্রহের আবহাওয়াও তৈরি করা হবে। থাকবে মঙ্গলে বসবাসের উপযুক্ত বাড়ি। আর তাতে থাকতে হবে আগ্রহীদের। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে এমন চাকরিপ্রার্থীদের খোঁজও শুরু করে দিয়েছে গবেষণা সংস্থা।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সূত্র উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনগুলিতে দাবি করা হচ্ছে, মঙ্গলে থাকার মতো বাড়ি তৈরিতে হাত লাগিয়েছে নাসা। পৃথিবীর বুকে মঙ্গলে থাকার মতো এক একটি বাড়িতে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ চার জন। ১,৭০০ বর্গফুটের এক একটি বাড়িতে থাকার এই প্রকল্পের নাম ‘ক্রু হেল্থ অ্যান্ড পারফরম্যান্স এক্সপ্লোরেশন অ্যানালগ’। টেক্সাসের হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে একটি ‘থ্রিডি প্রিন্টেড’ মঙ্গল আবাসস্থলের প্রতিরূপ রাখা আছে। মঙ্গলের বাস্তব জীবন কেমন হতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখে এই বাড়িগুলিতে সম্পদ থাকবে সীমিত। সেখানে ফসল ফলাতে হবে, রোবোটের সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং বেড়ানোর মতো করে ‘মহাকাশ ভ্রমণ’ করতে হবে।
জানা যাচ্ছে, ২০২৫ সাল থেকে জোরকদমে ওই কাজ শুরু হবে। মঙ্গলে থাকার মতো এই বাড়িগুলির জন্য ‘গৃহস্থ’ হওয়ার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে ২ এপ্রিল পর্যন্ত।
যোগ্যতা হিসাবে, প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। এবং ওই ব্যক্তিকে আমেরিকার নাগরিক বা সে দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তা ছাড়া, প্রার্থীকে ইংরেজি জানতে হবে এবং অধূমপায়ী হতে হবে। আবেদনকারীকে জানতে হবে ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, জীববিজ্ঞান। থাকতে হবে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পেশাদার অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে দু’বছরের ডক্টরাল স্তরের গবেষণার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বেতন ঠিক কত, তা জানানো হয়নি। তবে বলাই বাহুল্য, সেটা বেশ বড় অঙ্কেরই হবে।