বই পড়ার অভ্যাস শুরু হোক ছোট থেকেই। ছবি: সংগৃহীত।
স্মার্টফোনের যুগে অডিয়ো-ভিস্যুয়ালের নেশা যেমন হু হু করে বাড়ছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে কমছে বই পড়ার আগ্রহ। এই আগ্রহ ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের মধ্যেও এই অভ্যাস ফিরিয়ে আনা জরুরি। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি সহানুভূতি বৃদ্ধি করতেও নিয়মিত বই পড়া উচিত। এ ছাড়া নতুন শব্দভান্ডার তৈরি করতেও এই অভ্যাসের জুড়ি নেই। পড়ার অভ্যেসটা যাতে একেবারে ছোট বয়স থেকেই খুদেদের মধ্যে তৈরি হয়, তার জন্য অভিভাবককে একটু বেশি যত্নশীল হতে হবে বইকি। কী ভাবে শিশুর মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করবেন রইল হদিস।
১) স্ক্রিন টাইম বেশি হলেই শিশুর বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে না। তাই সারা দিনে শিশু কত ক্ষণ টিভি দেখতে পারে বা মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখতে পারে সেই সময়টা বেঁধে দিন। অবসর সময়টা বই পড়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। আপনি অফিসে থাকলেও খুদে সেই নিয়ম মানছে কি না, সে দিকেও নজর রাখুন।
২) আপনাকে দেখেই শিশু শিখবে। খুদে যদি দেখে রোজ ওরর বাবা-মা বই, ম্যাগাজ়িন কিংবা খবরের কাগজ পড়ছে, তা হলে ওর মধ্যেও পড়ার ইচ্ছে তৈরি হবে। কারণ, অনেক সময় বাচ্চা তার বাবা-মাকে নকল করার চেষ্টা করে।
৩) গল্পের ছলে অভ্যাস তৈরি করুন। খুদেরা গল্প শুনতে ভালবাসে। আপনি একটা গল্প শুনিয়ে শিশুর মন ভোলাতে পারেন। শিশু যখন গল্পের মধ্যে একবারে ডুবে যাবে তখন গল্প বলা বন্ধ করে দিয়ে ওকে বলুন বাকিটা ওকে বই থেকেই পড়ে নিতে হবে।
গল্পের ছলে অভ্যাস তৈরি করুন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ছুটির দিনে খুদেকে নিয়ে লাইব্রেরিতে সময় কাটান। ও যাতে নিজে হাতে ঘেঁটে পছন্দসই বই বেছে নিতে পারে। ধারেকাছে লাইব্রেরি না থাকলে কোনও বুকস্টোরেও নিয়ে যাওয়া যায়। এখন অনেক ক্যাফেতেও বাচ্চাদের বসে বই পড়ার জন্য চমৎকার ব্যবস্থা থাকে। নিজে হাতে করে বই নেড়েচেড়ে দেখলে, সেখানেই বসে কিছুটা পড়তে পারলে তার সঙ্গে এক ধরনের ভালবাসা তৈরি হবে ওর।
৫) খুদেকে শুধুই রূপকথার জগতে ঠেলে দেবেন না। বরং ছোট থেকেই বাস্তব দুনিয়ার সঙ্গে একটু একটু করে পরিচয় করান। গল্পের বই ছাড়াও কুইজ়ের বইও কিনে দিতে পারেন ওকে। একটু বড় হলে ওকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই বাছতে দিন।