প্রতীকী ছবি।
ওজন কমানোর জন্য আমরা শরীরচর্চা থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস, সবই বদলে ফেলার চেষ্টা করি। এমনকি, কারও কাছ থেকে ওজন কমানো সংক্রান্ত কোনও সূত্র পেলেই, সেটা নিজের জীবনে প্রয়োগ না করা পর্যন্ত শান্তি পাই না। কেউ ধরুন বলল, অমুক খেলে ওজন কমবে বা এই ভাবে ব্যায়াম করলে ওজন কমবে। তার কার্যকারিতা যাচাই না করেই আমরা করার চেষ্টা করি। মুশকিল হচ্ছে, এর থেকে ভুল ধারণা গড়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। এই রকমই ওজন ঝরানো সংক্রান্ত কয়েকটি ভুল ধারণার সত্যতা তুলে ধরা হল এখানে।
১। বেশি ঘামলে বেশি ওজন ঝরবে: এটা বোধহয় সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। কিন্তু একদম ভুল। ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর তার দেহের তাপ বার করে দেহের ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর সঙ্গে ওজন ঝরানোর সম্পর্ক কম।
২। ব্যায়াম করা থামালে পেশি রূপান্তরিত হবে চর্বিতে: একেবারেই অবাস্তব ধারণা এটি। পেশি কখনও চর্বিতে রূপান্তরিত হতে পারে না। দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।
প্রতীকী ছবি।
৩। স্পট রিকাডশন উপকারি: শরীরের কোনও অংশের মেদ ঝরানোর জন্য ‘স্পট রিডাকশন’ করার কথা অনেকেই ভাবেন। কিন্তু এতে আদৌ লাভ হয় না।
৪। ভাজাভুজি মশলাদার খাবার খেলে অসুবিধে নেই, ব্যায়াম তো করছিই: একেবারেই এ রকম ভাবার কোনও কারণ নেই। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও ব্যায়াম দু’টিই একসঙ্গে করলে তবে ওজন কমবে।
৫। ওজন কমানোর জন্য শেক খাওয়া যায়: না, এটাও ঠিক নয়। খুব বেশি মিষ্টি দেওয়া ও কম প্রোটিনযুক্ত শেক খেলে কিন্তু ওজন আর কমবে না।
৬। ব্যায়াম করে শরীরে ব্যথা না হলে ওজন কমবে কী করে: একেবারেই ঠিক নয়। প্রথম প্রথম ব্যায়াম করলে এ রকম হতে পারে। কিন্তু ব্যথা যদি থেকে যায়, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭। ট্রেডমিলে দৌড়নো আর বাইরে দৌড়নো এক: দু’টিতেই ওজন কমে। কিন্তু বাইরে দৌড়লে অনেক বেশি ক্যালোরি ঝরে।