উৎসবে-উদ্যাপনে সে সব কথা মাথা থেকে বার করে দিয়ে অনেকেই মদ্যপান করেন। ছবি: সংগৃহীত।
মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে উৎসবে-উদ্যাপনে সে সব কথা মাথা থেকে বার করে দিয়ে অনেকেই মদ্যপান করেন। মদের প্রকারভেদ বিপুল। কারও পছন্দ ঠান্ডা বিয়ার। কেউ আবার হুইস্কির গ্লাসে চুমুক বসাতে ভালবাসেন। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় হুইস্কি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। সেগুলি আগে মন থেকে মুছে ফেলা জরুরি।
হুইস্কি শুধু পুরুষদের পানীয়
ছেলেরা হুইস্কি খেতে পছন্দ করেন, এ কথা সত্যি। তাই বলে এই পানীয়ের উপর একচ্ছত্র অধিকার শুধু পুরুষদের, এ ধারণা ভুল। হুইস্কি যতটা পুরুষের, ঠিক ততটা নারীরও।
হুইস্কি ‘নিট’ খেতে হয়
হুইস্কি বলে নয়, যে কোনও অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ই অন্য কোনও পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া জরুরি। কিন্তু এমন কিছু হুইস্কি রয়েছে, যা অন্য পানীয়, এমনকি জলের সঙ্গে মেশালেও তার মহিমা খোয়া যায়। সে ক্ষেত্রে পরম্পরা মেনে পান করাই উচিত। তবে খুব দামি স্কচ হুইস্কি পানের কিছু রীতি-রেওয়াজ রয়েছে। সুরা যে একটি শিল্পবস্তু, তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে হয়— এমন কথা বলে থাকেন সুরারসিকরা।
হুইস্কি শীতকালের পানীয়
শীতকালে খেলে শরীর গরম থাকে। কিন্তু তাই বলে গরমে হুইস্কি খাওয়া যাবে না, এই ভাবনা ভুল। তবে মরসুম যাই হোক, পরিমাণে রাশ টানতে হবে।
সব হুইস্কির স্বাদ এক রকম
এই ধারণা একেবারে ভুল। বিভিন্ন ধরনের হুইস্কি স্বাদের দিক থেকে আলাদা। কিন্তু অনেকেরই সব ধরনের হুইস্কির স্বাদ একই রকম বলে মনে হয়। এই ভাবনার সত্যিই কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। হুইস্কির উপাদান, তা কত দিনের পুরনো, কোন পদ্ধতিতে তৈরি, কোন দেশে তৈরি ইত্যাদি ভেদে তার স্বাদের তারতম্য হয়।
সর্দি-কাশির ওষুধ
গরম জলে ব্র্যান্ডি বা রাম মিশিয়ে খেলে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু হুইস্কি খেলে সত্যিই সর্দি-কাশি কমে কি না, তার কোনও প্রমাণ নেই।