মনকাড়া ফিশ ব্যাটার ফ্রাই। ছবি: শাটারস্টক।
বাড়িতে হাজির অতিথি, এ দিকে চায়ের সঙ্গে ভাল কিছু স্ন্যাক্সের জোগান নেই। কিংবা হাতের কাছে মজুত আছে কিছু মুখরোচক চানাচুর বা কুকিজ। কিশমিশ, কাজুর যুগলবন্দিও রয়েছে। কিন্তু চায়ের পাশে একটু মাছ ভাজা না হলে কি আর জমে! সময়ও লাগবে অল্প, অথচ স্বাদ বাড়াবে দেদার এমন ফিশ ফ্রাইয়ের রেসিপি থাকতে আর চিন্তা কী!
বাঙালির পিশ ফ্রাই বলতেই ব্রেড ক্রাম্বে জড়ানো স্বাদু ভেটকি। তবে এই ভেটকি বা বাসার ফিলে নিয়ে বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন ফিশ ব্যাটার ফ্রাইও।
নামমাত্র উপকরণ ও কম সময়ে বানানো এই ভাজা চায়ের সঙ্গে তুলে জিন অতিথির পাতে। আড্ডা বা দরকারি কাজ, জমে যাবে সবটাই। জানেন, কী ভাবে বানাবেন এই পদ আর উপকরণগুলি কী কী?
আরও পড়ুন: চটজলদি রান্নায় এমন মাছের পদ! অতিথি তারিফ করতে বাধ্য
ফিশ ব্যাটার ফ্রাই
উপকরণ
ভেটকি বা বাসার ফিলে: ১৮০ গ্রাম
ভাজার জন্য তেল
ম্যারিনেশনের জন্য
লেবুর রস: ১০-১৫ মিলিগ্রাম
ফ্রেঞ্চ মাস্টার্ড: ১০০ গ্রাম
গোলমরিচ গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
আদাবাটা: ১ চা চামচ
পার্সলে কুচি
নুন: স্বাদমতো
ব্যাটার
খাবার সোডা: খুব অল্প
ময়দা: ২০-৩০ গ্রাম,
কর্নফ্লাওয়ার: ২০-৩০ গ্রাম
আরও পড়ুন: এক ফোঁটাও তেল নয়, কী ভাবে বানাবেন ক্রিম চিকেন?
পদ্ধতি
বাসা বা ভেটকি মাছের ফিলে কিনে এনে ভাল করে ধুয়ে, শুকনো করে মুছে নিন। এবার মাচের গায়ে নুন, গোলমরিচ, ফ্রেঞ্চ মাস্টার্ড পার্সলে কুচি ও আদাবাটা মাখিয়ে রেখে দিন। এ বার আধ ঘণ্টা মাছের ফিলেকে ম্যারিনেট অবস্থায় থাকতে দিন। বরং এই ফাঁকে বানিয়ে রাখুন ব্যাটার।
কর্নফ্লাওয়ার, ডিম, ময়দা, খাবার সোডা, নুন ও কিছুটা মরিচগুঁড়ো ভাল করে ফেটিয়ে নিন। খুব ঘন হয়ে গিয়েছে মনে হলে সামান্য জল যোগ করতে পারেন। এ বার ওই ব্যাটারে ম্যারিনেশন করা মাছের টুকরোগুলো ডুবিয়ে মাছের গায়ে একটা কোটিং তৈরি করে নিন। এ বার ছাঁকা তেলে ডুবিয়ে ভেজে নিন। চা-কফির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।