আদৌ কি বয়স কমল ব্রায়ানের? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
যৌবন ফিরে পেতে এক বছরে প্রায় ২ মিলিয়ান ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা) খরচ করেন এক বায়োটেক সংস্থার সিইও ব্রায়ান জনসন। বয়স কমাতে তিনি প্রতি দিন ১১১টি ট্যাবলেট খান। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নাকি বিভিন্ন রকম ডিভাইস বসানো। ডিভাইসগুলি প্রতিনিয়ত তাঁর শরীরের কার্যকলাপের উপর নজর রেখে চলেছে। ৪৬ বছর বয়সি ব্রায়ানের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁকে যেন দেখতে লাগে বছর ১৮-র যুবকের মতো। অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণের পথে অনেকটাই এগিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক্সে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি, যেখানে তাঁকে দেখতে যুবকের মতোই লাগছে।
ব্রায়ানের বয়স কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল প্রায় মাস দশেক আগে। এর জন্য ব্রায়ানকে রোগা হতে হয়েছে। মুখের মেদ কমিয়ে ছিপছিপে হয়েছেন তিনি। এখন তাঁর মুখে তারুণ্যের জেল্লা স্পষ্ট। ব্রায়ান বার্ধক্য চান না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একই রকম থেকে যেতে চান। তার জন্য তিনি ভরসা রেখেছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর। কমবয়সিদের রক্তের প্লাজমা নিজের শরীরে নিতে শুরু করেন ব্রায়ান। বয়সের চাকা উল্টো দিকে গড়ানোর জন্যই এত তোড়জোড়। ‘জেনারেশনাল ব্লাড সোয়াপিং’ পদ্ধতিতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ কম বয়সের মতো সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছেন ব্রায়ান। যৌবন ফিরে পেতে নিজের ছেলের প্লাজমাও শরীরে নিয়েছেন ব্রায়ান।
এই ১০ মাস রোজ সকাল ৫টায় ঘুম থেকে ওঠা, প্রতি দিন ঠিক ১,৯৭৭ ক্যালোরি মেপে ভেগান খাবার খাওয়া, কঠোর শরীরচর্চা করেছেন ব্রায়ান। মনের মতো শরীর পেতে ব্রায়েনকে বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, যেগুলি যন্ত্রণাদায়কও বটে। এর পাশাপাশি নিয়মিত রক্তপরীক্ষা, এমআরআই, আলট্রাসাউন্ড ও কোলনোস্কপির মধ্যে করাতে হত ব্রায়েনকে। ব্রায়েনের শরীরে প্রতিটি অঙ্গের ছবি তুলে তাঁর নোট রাখতেন চিকিৎসকেরা। মূলত ব্রায়ানের শরীর নিয়ে একটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। বয়সের চাকা উল্টো দিকে ঘোরানো আদৌ সম্ভব কি না তাঁর পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ব্লুপ্রিন্ট পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বছর ২৯-এর মেডিসিন চিকিৎসক অলিভার জোলম্যান। চিকিৎসার মাধ্যমে লোকের বয়স কমানো যায়, এটাই প্রমাণ করা তাঁর মূল উদ্দেশ্য। ব্রায়েনের সঙ্গে পরীক্ষাটি সফল হলে গবেষণা ক্ষেত্রে বড় সাফল্য আসবে। যদিও ব্রায়ান কিন্তু তাঁর উপর করা পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট।