শোনা খবরে ভরসা বেশি। ছবি: সংগৃহীত
অতিমারি সকলেরই মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই চাপ সামলানোর জন্য আবার এক এক জন মানুষ এক এক রকমের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু ভারতের নতুন প্রজন্ম বেশি আস্থা রাখছে অডিয়ো-মাধ্যম বা পডকাস্টে। তেমনই বলছে হালের সমীক্ষা।
অতিমারির সময় থেকেই বাড়িতে সময় কাটানোর পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। কমেছে মেলামেশা। তাতেই মানসিক চাপ বেড়েছে। সমীক্ষা বলছে, সেই চাপ কাটাতে মিলেনিয়াল (১৯৮১ থেকে ১৯৯৬-এর মধ্যে জন্ম যাঁদের) বা জেনারেশন জেড (১৯৯৭ থেকে ২০১২-র মধ্যে জন্ম যাঁদের) আশ্রয় নিচ্ছেন অডিয়ো-মাধ্যমে। এই অডিয়ো-মাধ্যমের মধ্যে বড় অংশই হল ‘পডকাস্ট’। এছাড়াও অতিমারির সময়ে অনলাইনে গান শোনার পরিমাণও বেড়েছে। তেমনই বলছে সমীক্ষা।
এই প্রজন্ম দু’টি কী পরিমাণে অডিয়োর দ্বারস্থ হয়েছে?
মনের শান্তির জন্য অডিয়ো-মাধ্যমের দ্বারস্থ নতুন প্রজন্ম।
‘স্পটিফাই’ নামক অডিয়ো-মাধ্যম চালানো এক বেসরকারি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮৭ শতাংশ মিলেনিয়াল এবং ৭৭ শতাংশ জেনারেশন জেড মানসিক চাপ কাটাতে অডিয়ো-মাধ্যমের উপর ভরসা রাখছেন। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ৮৪ শতাংশ মিলেনিয়াল মনে করেন, অডিয়ো তাঁদের মানসিক শান্তি দিচ্ছে। আর ৭৯ শতাংশ জেনারেশন জেড মনে করেন, এই মাধ্যম তাঁদের মানসিক চাপ কমাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, সার বিশ্বে কী হচ্ছে, তার অংশীদার হয়ে উঠতেও এই দুই প্রজন্ম ভরসা রাখছে অডিয়ো-মাধ্যমে, বিশেষ করে ‘পডকাস্ট’-এর উপর। ‘পডকাস্ট’-এর মাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়, তাকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলেও মনে করছেন এই দুই প্রজন্মের মানুষ।