মনের উপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে মাস্ক? ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সামাজিক উদ্বেগ। এমনকি যাঁদের এই ধরনের কোনও উদ্বেগ আগে ছিল না, তাঁদের অনেকেও এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের তরফে একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, মাস্কের কারণে বহু মানুষ উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং মানিয়ে না উঠতে পারার সমস্যায় ভুগছেন। শুধু তাই নয়, বেড়েছে সামাজিক উদ্বেগের পরিমাণও। যাঁদের এই সমস্যা আগে ছিল না, তাঁদের অনেকেই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন।
কী এই সামাজিক উদ্বেগ?
মূলত খুব নিম্নমানে নিজের মূল্যায়ন, নিজের আচার আচরণ নিয়ে ভয়ে থাকা এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ। যাঁরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হন, তাঁরা সব সময়ই ভাবেন, সমাজ বা চারপাশের মানুষ তাঁর থেকে অনেক কিছু চাইছেন। আর তাঁরা সেটি পূরণ করতে পারবেন না। মোটামুটি ধরে নেওয়া হয়, সমগ্র জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত। কিন্তু হালে সেই সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। না হলে আরও বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে, এ কথা মেনে নিয়ে গবেষকদলের সদস্য সিডনি সেন্ট বলেছেন, ‘‘সামাজিক নিয়মগুলি নিয়ে যাঁরা বেশি মাত্রায় সচেতন, তাঁদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। অন্যের মুখের অনেকটা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না বলে উল্টো দিকের মানুষটির মনের ভাব নিয়ে এক ধরনের সংশয় তৈরি হচ্ছে তাঁদের। সেটাই উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।’’
অতিমারির পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পরে মাস্কের প্রয়োজন কমে গেলেও এই উদ্বেগ চট করে যাওয়ার নয় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে মনোবিদদের এই রিপোর্টে।