টেডি জানিয়েছেন, কৈশোরে লোম নিয়ে লজ্জার শেষ ছিল না তাঁর। ছবি: সংগৃহীত
শরীর ঢাকা লোমে। ঘনত্ব এতই বেশি যে, অল্প বয়সে জনসমক্ষে পোশাক খুলতে সঙ্কোচ বোধ করতেন। দিনরাত ওয়াক্স করাতেন। কিন্তু সফল হয়নি কোনও চেষ্টাই। যে লোম অল্প বয়সে হীনম্মন্যতা তৈরি করেছিল, সেই লোমকে কাজে লাগিয়েই অর্থ উপার্জন করতে শুরু করলেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার এক যুবক।
ওই যুবক নিজের পরিচয় দেন মিস্টার টেডি বিয়ার নামে। সেই নামেই অনুরাগীদের কাছে পরিচিত তিনি। ইনস্টাগ্রামে টেডি জানিয়েছেন, কৈশোরে লোম নিয়ে লজ্জার শেষ ছিল না তাঁর। নিয়মিত সেই লোম কামিয়ে ফেলতেন। কিন্তু ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই ফের গজিয়ে উঠত লোম। বিষয়টি খারাপ প্রভাব ফেলেছিল সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। অধিকাংশ নারীই কটাক্ষ করতেন তাঁকে। কেউ কেউ তাঁকে ‘ওয়্যারউলফ’ নামের এক কাল্পনিক জন্তুর সঙ্গেও তুলনা করতেন বলে জানিয়েছেন যুবক।
বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে টেডির অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। ছবি: সংগৃহীত
টেডির দাবি, এক দিন সেই সব কটাক্ষকে ঝেড়ে ফেলে মডেলিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শুরু করেন শরীরচর্চাও। ছবি প্রকাশ করতে থাকেন ইনস্টাগ্রামে। বর্তমানে সেখানে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। রোমশ শরীরের পরিচর্যায় কী করতে হয়, তা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে লোমের যত্নেই তিনি বাজারে এনেছেন হরেক রকমের প্রসাধনীও। ইনস্টাগ্রামে তিনি জানিয়েছেন, যাঁদের শরীরে লোমের পরিমাণ বেশি, গরম ও আর্দ্রতায় খুবই কষ্ট হয় তাঁদের। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন তেল ও সুগন্ধি বিক্রির কথা মাথায় আসে তাঁর।