আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের এক বাসিন্দাকে চাকরিক্ষেত্রে তেমন কোনও কাজই করতে হত না, অথচ ওই চাকরির জন্য তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। ছবি: শাটারস্টক
ধরুন, আপনি এমন একটি চাকরি পেলেন, যেখানে আপনাকে বিশেষ কিছুই করতে হবে না অথচ আপনি বছরের শেষে গুনে গুনে কোটি টাকা হাতে পাবেন! ভাবছেন তো মশকরা করছি? এই কাজ অনেকের কাছে স্বপ্নের চাকরি হলেও আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা এক ব্যক্তি কিন্তু এমনটা মনে করেন না।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের এক বাসিন্দাকে চাকরি ক্ষেত্রে তেমন কোনও কাজই করতে হত না, অথচ ওই চাকরির জন্য ভারতীয় মুদ্রায় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। তবে এই কাজ মোটেও মনে ধরেনি তাঁর। কাজ নিয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধেই মামলা করেছেন!
ডেইলি মেলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডারমোট অ্যালিস্টার মিলস নামে ওই ব্যক্তি আইরিশ রেলের কর্মচারী ছিলেন। তিনি রেলের ফিন্যান্স ম্যানেজারের পদে কাজ করতেন। মূলত সংস্থার আর্থিক দিক দেখাশোনা করাই ছিল তাঁর কাজ। ওই কাজের জন্য তিনি ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা বার্ষিক বেতনও পেতেন। ডারমোটের দাবি, ওই কাজে তিনি তার বেশির ভাগ সময় সংবাদপত্র পড়ে, স্যান্ডউইচ খেয়ে আর হাঁটাহাঁটি করেই কাটিয়ে দিতেন।
আপনার মনে হতেই পারে যে বিনা পরিশ্রমে মাইনে পেতে সমস্যা কোথায়? ছবি: শাটারস্টক।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডারমোট বলেন, ‘‘আমি আমার কিউবিক্যালে যেতাম, কম্পিউটার চালু করতাম, ইমেল দেখতাম। কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ইমেলই পেতাম না, সহকর্মীরদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগেরও সুযোগ পেতাম না। খাতায়কলমে ৫ দিন কাজের কথা বলা হলেও বড়জোর ২ দিন অফিস গেলেই হত। কখনও কখনও এমন হয়েছে যে, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই আমি বাড়ি ফিরে যেতাম।’’
আপনার মনে হতেই পারে যে বিনা পরিশ্রমে মাইনে পেতে সমস্যা কোথায়? ডারমোটের মতে এই সংস্থায় তিনি তাঁর দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছিলেন না, ফলে তাঁর পদোন্নতিও আটকে যাচ্ছিল। অকারণেই তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। সংস্থার এমন আচরণে বেজায় চটেছেন তিনি, তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।