সিনেমা না কি বাস্তব? ছবি: সংগৃহীত।
পরিচালক মেহেরান করিমি নাসেরি পরিচালিত ‘দ্য টার্মিনাল’ ছবির প্রধান চরিত্র জীবনের ১৮টি বছর বিমানবন্দরের টার্মিনালে কাটিয়ে দিয়েছিল। ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের মনে থাকবে। বাস্তবের অনেক কিছুই অনেক সময় উঠে আসে সিনেমার পর্দায়। তবে সিনেমার মতো যদি বাস্তব হয়ে যায়? সাংহাইের এক শপিং মলের সিঁড়ির নীচে ৬ মাস ধরে সংসার পেতে থাকলেন এক তরুণ। মাস ছয়েক পরে তা আবিষ্কার করলেন শপিং মলেরই এক নিরাপত্তারক্ষী।
ওই শপিং মলটির এক তলায় দোকান নেই। দোতলা থেকে দোকানের ভিড় শুরু হয়েছে। নীচের তলাটা ফাঁকাই পড়ে থাকে। শপিংমলের কর্মীদের আনাগোনাও সেখানে নেই বললেই চলে। দ্বিতলে ওঠার সিঁড়ির নীচের দিকটা জনশূন্যেই থাকে। সেই সুযোগে সেখানে এসে নিজের মতো করে থাকতে শুরু করেন যুবক।
সম্প্রতি শপিং মলের এক নিরাপত্তারক্ষী বিশেষ কাজে সিঁড়ির কাছে যান। সেখানে যেতেই আকাশ থেকে পড়েন তিনি। ঘর নেই, তবু একজনের সংসারে যা যা থাকে, সব কিছুই আছে সেখানে। অগোছালো তক্তাপোশের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোশাক, বইখাতা। পাশে ছোট টেবিলের উপর রাখা জল, গ্লাস। আর টেবিলের সামনেই একটি ইজি চেয়ারে হেলান দিয়ে বইয়ে মুখ গুঁজে ‘ঘরের’ মালিক।
প্রাথমিক বিস্ময় কাটিয়ে শপিং মলের কর্মী ওই যুবকের কাছে জানতে চান, তিনি এখানে কী করছেন? ওই যুবক যা বলেন, তাতে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিছু দিন আগেই নাকি তিনি চাকরি নিয়ে এই শহরে এসেছেন। নতুন জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় হচ্ছিল না কিছুতেই। এক দিন শপিং মলে কিছু জিনিসপত্র কিনতে এসেছিলেন তিনি। সিঁড়ির নীচটা ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখে সেখানেই থাকার পরিকল্পনা করেন তিনি। ৬ মাস আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে বসবাসের যোগ্য করে তোলেন জায়গাটি। যুবকের কথা শুনে অবশ্য শপিং মল কর্তৃপক্ষের মন গলে। তাঁরা যুবককে সেখানেই থাকার অনুমতি দেন।