শর্করার মাত্রা কমানোর নতুন উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে শর্করার মাত্রা এক বার বেড়ে গেলে তা সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাওয়াদাওয়ায় একটা বড় পরিবর্তন আসে। মিষ্টি তো জীবন থেকে বাদ যায় বটেই, আরও অনেক খাবারের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। নিয়মমাফিক রুটিন মেনে চলার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধও খেতে হয়। অথচ এত কিছু করা সত্ত্বেও ডায়াবিটিস বশে থাকে না কিছুতেই। তখন ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখা ছাড়া উপায় থাকে না। চেনা কিছু পাতা ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সু্স্থ থাকতে কয়েকটি পাতার উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন।
তেজপাতা
রান্নায় স্বাদ আনতে তেজপাতা ফোড়নের কোনও বিকল্প নেই। তেজপাতার রয়েছে আরও অনেক গুণ। ডায়াবেটিকদের জন্য তেজপাতা মহৌষধির মতো কাজ করে। তেজপাতা ভেজানো জল খেলে শর্করার মাত্রা সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পেয়ারা পাতা
শরীরের খেয়াল রাখতে পেয়ারা নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে পেয়ারা পাতারও উপকারিতা কম নয়। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতার রস সত্যিই ওষুধের মতো কাজ করে। পেয়ারা পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েডস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে দেয় না। ইনসুলিন ক্ষরণের পরিমাণও কমে।
সুস্থ থাকতে নিমপাতার উপর ভরসা রাখতেই হবে। ছবি: সংগৃহীত।
নিমপাতা
যতই অপছন্দের হোক, ডায়াবিটিস বাড়লে নিমপাতা খাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। সুস্থ থাকতে নিমপাতার উপর ভরসা রাখতেই হবে। নিমপাতায় রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস, গ্লাইকোসাইডস। নিমপাতায় থাকা এই উপাদানগুলি শর্করার মাত্রা বিপদসীমা পেরোতে দেয় না।
মেথির শাক
স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে শাকসব্জির মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে মেথিশাক। ডায়াবিটিস থাকলে রোজ মেথির শাক খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। মেথি শাকে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবিটিক উপাদান। ওষুধের পাশাপাশি ডায়াবেটিকেরা যদি মেথি শাক খান, তা হলে শর্করার মাত্রা বশে রাখা সহজ হয়ে যায়।