অন্যের নামে পুণ্য ডুব দেওয়ার আশায় বসে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। ছবি- ভিডিয়ো থেকে।
পুণ্য অর্জন করতে নাকি অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। কখনও দুর্গম-গিরি, কান্তার-মরু পার করতে হয়। আবার পুণ্যের আশায় কনকনে ঠান্ডা জলে ডুব দেন অনেকে। সামনেই আসছে পৌষ সংক্রান্তি। পুণ্য লাভের আশায় বিভিন্ন রাজ্যের পুণ্যার্থী বাংলার সাগরসঙ্গমে ভিড় করেন। বিশ্বাস, পৌষ সংক্রান্তির দিন নদী বা সাগরের জলে ডুব দিলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। কিন্তু বয়স্ক পুণ্যার্থীদের নিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। ঠান্ডার প্রকোপ তাঁরা সামলাতে পারেন না আবার পুণ্যলাভের টানও ছাড়তে পারেন না। ঠান্ডা জলে স্নান করে অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে।
পুণ্য অর্জন করতে গিয়ে পাহাড়ে হেঁটে উঠতে না পারলে অনেকেই ঘোড়া বা খচ্চর ভাড়া করেন। কেউ আবার ভাড়া করেন ডুলি বা পালকি। কিন্তু অন্যের হয়ে কনকনে ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দিয়ে পুণ্য অর্জন করে দেবেন এমন মানুষ পাওয়া যায় কি?
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে সামনে এসেছে এমনই একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কোনও এক নদীর ধারে রেলিং-এর উপর বসে রয়েছেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। নিজে মুখেই নিজের কাজের প্রচার করে বলছেন, “আপনার নামে পুণ্য ডুব, মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে।”
ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বইছে মন্তব্যের বন্যা। নেটাগরিকদের মধ্যে কেউ লিখছেন, “রোজগারের নতুন উপায়।” আবার কেউ লিখছেন, “এর চেয়ে ভাল, সৎ ব্যবসা আর হতেই পারে না।” কারও মত, “কোনও কাজই ছোট নয়। সকলে সরকারি চাকরি করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন না। তাই তাঁর কাজকে ছোট করবেন না।”