যুবককে সাফল্যের কোন মন্ত্র শেখালেন নারায়ণ মূর্তি? ছবি: লিঙ্কডইন।
বিমানের ইকোনমিক ক্লাসে ইনফোসিস-কর্তা নায়ায়ণ মূর্তির সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ হয় যুবকের। ইনফোসিস-কর্তার নম্র আচরণ মন জয় করল নরেন কৃষ্ণের। দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী বিমানের নায়ায়ণ মূর্তির সঙ্গে আলাপ হয় নরেনের।
নরেন নিজে এক জন ব্যবসায়ী। নারায়ণের সঙ্গে আলাপের মুহূর্তটি বর্ণনা করে সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। নরেন লেখেন, ‘‘এত বড় এক জন ব্যক্তিত্ব আমার সঙ্গে ইকোনমিক ক্লাসে যাত্রা করেছেন, এই বিষয়টিই আমার কাছে স্বপ্নের মতো’।”
নারায়ণ ও তাঁর স্ত্রী সুধা মূর্তি খুব সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী। তাঁদের মাঝেমধ্যেই দেখা যায় বেঙ্গালুরুর রাস্তায় পুরনো মডেলের এক মারুতি গাড়িতে চেপে ঘুরে বেড়াতে। নরেন তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘‘বিমানে আমি যে কয়েক ঘণ্টা ওঁর সঙ্গে কাটিয়েছি সেই সময় আমি ওঁকে নানা রকম প্রশ্ন করেছি। এআইয়ের ভবিষ্যৎ কী, ভারতীয় অর্থনীতিতে তরুণদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ভবিষ্যতে কি চিনকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে ভারত, মানসিক চাপের সঙ্গে কী ভাবে লড়াই করব এবং কোনও নতুন ব্যবসা তৈরি করার সময় কী ভাবে ব্যর্থতাকে সামলাব— এ সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে আমাদের।’’
এআইয়ের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নিয়ে কথা বলেছেন নারায়ণ। নারায়ণ নরেনকে বলেন, ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌরাত্ম্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়বে। আগামী বছরে মানুষের উৎপাদনশীলতাকে আরও দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে এআই। বিভিন্ন সেক্টরে এআই উৎপাদনশীলতাকে ১০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলবে।’’ লুই পাস্তুরের এক উক্তি ধরে নারায়ণ যুবককে বলেন প্রস্তুতি থাকলে সুযোগও আসবে।