Lifestyle Changes

৩ অভ্যাস: নিয়মিত করতে পারলে ৪০-এর পরেও জীবনে রঙের অভাব হবে না

বয়স বাড়লে জীবন থেকে না কি সব রং হারিয়ে যায়। চুলে পাক ধরার মতো মনের রং ধূসর হতে শুরু করে। বয়সের পায়ে বেড়ি দিয়ে তাকে আটকে তো রাখা যাবে না। কিন্তু তার প্রভাব শরীরে বা মনে যাতে না পড়ে, সেই ব্যবস্থা করা যায় কি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:২০
Share:

৪০-এর পরেও চালশে ধরবে না। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকে মনে করেন জীবনে দ্বিতীয় বসন্ত আসে ৪০-এর পর। আবার কারও কাছে ওই বয়সটাই চালশে পড়ার জন্য যথেষ্ট। বয়স তো আটকে রাখা যাবে না। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে বয়সজনিত নানা রকম সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করা যায়। ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সি ছ’জন মহিলাকে ৮ সপ্তাহব্যাপী একটি সমীক্ষায় অংশ নিতে বলেন গবেষকেরা। যেখানে তাঁদের খাওয়াদাওয়া, ঘুম, শরীরচর্চার মতো বিষয়ে আলাদা করে নজর দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় শেষে ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছ’জনের রক্তপরীক্ষা করে দেখা যায়, শরীরের বয়স বাড়লেও সকলেরই মনের বয়স গড়ে সাড়ে ৪ বছর করে কমে গিয়েছে। তথ্যটি ‘এজিং’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই ৪০-এর পর থেকে শারীরিক কিছু পরিবর্তন আসে। ছবি: সংগৃহীত।

চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘বায়োলজিক্যাল এজ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেহের কোষ, টিস্যু এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রিয়াকলাপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও বয়স বাড়ে, কিন্তু বায়োলজিক্যাল এজ বাড়বে কি না তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির জীবনধারার মান কেমন, তার উপর। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া— গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, মানসিক চাপ মুক্ত থাকার অভ্যাসেও বয়সের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ করা যায়। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই ৪০-এর পর থেকে শারীরিক কিছু পরিবর্তন আসে। যার প্রভাব মনের উপরেও কিছুটা গিয়ে পড়ে। সাধারণ তিনটি বিষয় মেনে চললেই শরীর এবং মনের বয়স ধরে রাখা সহজ হবে।

১) শরীরচর্চা

Advertisement

৪০-এর পর জীবনকে যদি নতুন করে উপভোগ করতে হয়, তা হলে নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকতে হবে। তাতে হাড়ের জোর বাড়বে। বিপাকহার উন্নত হবে। মন, মেজাজ ফুরফুরে হবে। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত বিশ্রামও নিতে হবে।

২) পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া

বয়স এবং শরীরের প্রয়োজন বুঝে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। প্রতি দিনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, প্রোটিন, ফ্যাট, খনিজ-সহ অন্যান্য মাইক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টসের সমন্বয় রাখতে চেষ্টা করতে হবে।

৩) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা

দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপে থাকলে তা বয়সের ভার আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই নিয়মিত ধ্যান, যোগাসনের মাধ্যমে নিজের আবেগ এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement