জীবন গতিময় হবে জাপানি টোটকায়। ছবি: সংগৃহীত।
রাতভর ভাল ঘুম হয়েছে। তবু শরীরের ক্লান্তি সহজে কাটতে চায় না। এমন অনেকেরই হয়। অফিসে গিয়েও ঘুম পায়। কাজে গতি পাওয়া যায় না। সারা ক্ষণই একটা ক্লান্তি যেন ঘিরে থাকে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করলেও অনেক সময় এমন হয়। সময়মতো খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও যদি এমন হয়, তা হলে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। ভিতর থেকে চনমনে না থাকলে কাজের ব্যাঘাত। অনেক সময়ে শারীরিক ক্লান্তি মনের উপরেও প্রভাব ফেলে। তাই শরীর চাঙ্গা রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কিছু জাপানি কৌশলের উপর। তাতে চনমনে থাকা তো সহজ হবেই। সেই সঙ্গে মনও ভাল থাকবে।
মানসিক চাপ কাটাতে ধ্যান করুন। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের মাঝে বিরতি
কাজের চাপ থাকলেও একটানা কাজ করে যাবেন না। মাঝে বিরতি নেওয়া জরুরি। তাতে ক্লান্তির পরিমাণ কম হয়। জাপানি ভাষায় কাজের মাঝে ২৫ মিনিটের বিরতি নেওয়াকে ‘পমদেরো টেকনিক’ বলা হয়। এতে কাজে মনোযোগও বাড়বে। সেই সঙ্গে কাজের মানও ভাল হবে।
পছন্দের কাজ করুন
কাজ করে তৃপ্ত হওয়াটা জরুরি। কিন্তু সব সময়ে চাইলেই পছন্দের কাজ করার সুযোগ থাকে না। মানসিক এবং শারীরিক ক্লান্তির কারণ হতে পারে। তাই আনন্দে এবং চনমনে থাকতে পছন্দের কাজ করা জরুরি। জাপানে এই বিষয়টি ‘ইকিগাই’ নামে পরিচিত।
যন্ত্র থেকে দূরে থাকুন
কাজের প্রয়োজন ছাড়া যন্ত্রের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ডিজিটাল মাধ্যমগুলিতে সর্ব ক্ষণ সক্রিয় থাকলে কাজের সুবিধা হলেও এতে মন, মাথা এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তাই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ছাড়া সমাজমাধ্যম ব্যবহারে রাশ টানা জরুরি।
ধ্যান করুন
শারীরিক পরিশ্রমের কারণেই যে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, সব সময় তা না-ও হতে পারে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, মানসিক কষ্ট ক্লান্তির কারণ হতে পারে। মনের উপর যাতে এগুলি চেপে বসতে না পারে, তার জন্য ধ্যান করার করতে পারলে ভাল।
সময় নষ্ট না করাই ভাল
জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড অত্যন্ত মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ। সময় নষ্ট করা তাই একেবারেই ভাল অভ্যাস নয়। কাজের মধ্যে থাকলে যতটা ক্লান্ত লাগে, অনেক সময়ে ছুটির দিনে বিশ্রাম নিতে নিতে তার চেয়ে বেশি ক্লান্তি গ্রাস করে। নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখলে মন এবং মাথা দুই-ই চনমনে থাকবে।