Cough Syrup

গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় ওযুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার যোগ! মুখ খুলল অভিযুক্ত সংস্থা

হরিয়ানার সোনেপতের অভিযুক্ত ওষুধ নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও রকম প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়নি সংস্থার তরফে। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুলল সেই সংস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানেসর (হরিয়ানা) শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩১
Share:

দিল্লিতে ওই সংস্থার অফিস এখন তালাবন্ধ। ছবি রয়টার্স।

আফ্রিকার গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কাশির সিরাপের যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কেন্দ্রের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও।

Advertisement

মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামের হরিয়ানার সোনেপতের সেই ওষুধ নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও রকম প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়নি সংস্থার তরফে। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুলল সেই সংস্থা।

শনিবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ওষুধের নমুনা ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন সংগ্রহ করেছে। তারা এখনও ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করে আছে। ১, ৩, ৬ এবং ৭ অক্টোবর সিডিএসসিও-র তরফে বেশ কয়েক জন তাদের কারখানা পরিদর্শনে আসেন। তাদের ডিরেক্টরের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় নথিও সংগ্রহ করেছে সিডিএসসিও।

Advertisement

সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে যে, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা ওষুধ তৈরির কাজ করে আসছে। তাদের ওষুধ যে বিদেশে রফতানি করা হত, তার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সও তাদের ছিল। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, দেশীয় বাজারে তারা কোনও ওষুধ বিক্রি করে না, কেবল বিদেশেই রফতানি করা হয় তাদের ওষুধ।

প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কাফ সিরাপ, মেকফ বেবি কাফ সিরাপ এবং মাগরিপ এন কোল্ড সিরাপ নামের চারটি কাশির সিরাপের সঙ্গে আফ্রিকার ওই শিশুমৃত্যুর ঘটনার যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা হু-এর। বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে হু-প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘কিডনির গুরুতর সমস্যা ও ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে যোগ থাকতে পারে ওই ওষুধগুলির।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের আধ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করে সিডিএসসিও। হরিয়ানার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলার-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয় তৎক্ষণাৎ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল সেই সংস্থাটি হরিয়ানার স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলার-এরই লাইসেন্সপ্রাপ্ত। সংস্থাটি কেবল গাম্বিয়াতেই ওষুধ পাঠিয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রীতি অনুযায়ী যখন কোনও দেশ বাইরে থেকে ওষুধ আমদানি করে, তখন সেই দেশ নিজেদের মাপকাঠি অনুযায়ী সেই ওষুধের গুণমান বিচার করে নেয়।” এ ক্ষেত্রে সেই রীতি মানা হয়েছে কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement